|
|
|
|
পরিষেবা বেহাল রায়গঞ্জেও |
গৌর আচার্য • রায়গঞ্জ |
নেই বিশ্রামাগার। জলের ব্যবস্থা। চা দোকানে বসে সময় কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর বাড়ির লোকজন। তেষ্টা মেটাতে কিনে খেতে হচ্ছে জল। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পরিষেবার ওই বেহাল দশা দেখে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু পানীয় জল বা বিশ্রামাগারের সমস্যা নয়। হাসপাতাল চত্বরে পার্কিং স্ট্যান্ড না-থাকায় রোগীর বাড়ির লোক থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্যদের একাংশের অভিযোগ, সমস্যার কথা সমিতির সভায় অলোচনার পরেও স্বাস্থ্য কর্তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। হাসপাতালের সুপার অরবিন্দ তন্ত্রি বলেন, “রোগীর পরিবারের লোক বিশ্রামের ব্যবস্থা ও পানীয় জলের পরিষেবার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে পার্কিং স্ট্যান্ড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।” তিনশো শয্যার রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে উত্তর দিনাজপুর ছাড়াও সংলগ্ন মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং বিহারের রোগী ভিড় করেন। খোদ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্রামাগার না-থাকায় রোগীর বাড়ির লোক দিনভর ঘুরে বেড়ায়। বারান্দায় খবরের কাগজ বিছিয়ে রোগীর বাড়ির লোকজনের ঘুমিয়ে থাকার দৃশ্য এখানে বিরল নয়। কুকুর, বেড়ালের সঙ্গে তাঁদের দিন কাটে। ওয়ার্ডে ঢুকতে ওই মানুষদের ডিঙিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। হাসপাতালে দুটি সরকারি নলকূপ থাকলেও গা গুলিয়ে ওঠা দুর্গন্ধে ভরা ঘোলা জল কেউ ব্যবহার করতে পারে না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে জল কিনে আনতে হয়। বিভিন্ন গ্রাম থেকে যারা সাইকেল, মোটর সাইকেলে যাচ্ছেন তাঁদের ভোগান্তি শেষ থাকে না। কারণ, হাসপাতালে সাইকেল, মোটর সাইকেল অ্যাম্বুলেন্স রাখার মতো পার্কিং জোন নেই। জরুরি ওয়ার্ডের সামনেও দিনভর সাইকেল, রিকশা, মোটর সাইকেল, অ্যাম্বুলেন্সের ভিড়। ওই যানজট ঠেলে তবেই ওয়ার্ডে পৌছতে পারেন রোগীর বাড়ির লোক। একই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য হবিবুর রহমান বলেন, “হাসপাতালে বিশ্রামাগার তৈরি এবং জলের ব্যবস্থা করার বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। পার্কিং জোন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও উদ্যোগ নেয়নি।” একই অভিযোগ জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ তথা কংগ্রেস নেতা পূর্ণেন্দু দে’র। তিনি বলেন, “সমিতির সভায় আলোচনাই সার হচ্ছে। উপায় নেই। দ্রুত পরিষেবার ব্যবস্থা না-করা হলে আন্দোলনের পথে যেতে হবে” |
|
|
|
|
|