পাহাড়ে অসহায় বিরোধীরা
পুর-ভোটে দাঁড়াতে দ্বন্দ্ব দলেই
ক দিকে প্রার্থী হওয়ার জন্য ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটছে। উল্টোদিকে কে প্রার্থী হবেন তা খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিপক্ষ শিবির। এমনই কাণ্ড ঘটছে দার্জিলিং পাহাড়ে। একদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রার্থী হওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা তুঙ্গে। ধস্তাধস্তি, মারপিটের ঘটনাও খুচখাচ ঘটছে। উল্টোদিকে, গোর্খা লিগ, জিএনএলএফ, সিপিআরএম, সিপিএম প্রার্থী খুঁজতে হিমশিম। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আগামী ১১ ডিসেম্বর পাহাড়ের দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং এবং মিরিক পুরসভার ভোট হবে। ৮ নভেম্বর থেকে প্রার্থী পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সে কথা মাথায় রেখেই জোরকদমে আসরে নেমে পড়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চার অন্দরের খবর, কোনমতে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট পেলেই জয় নিশ্চিত, এমন ভাবনা থেকেই দলের একাংশ মরিয়া হয়ে উঠেছেন। রবিবার তো প্রার্থী বাছাই নিয়ে এক বৈঠকের পরে দু-দল মোর্চা সমর্থকদের মধ্যে মারপিটও হয়। মারধরে জখম ২ জন মোর্চা সমর্থককে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। মোর্চার প্রচার সচিব হরকাবাহাদুর ছেত্রী অবশ্য বলেন, “তেমন কিছু হয়নি। আমাদের কর্মীদের মধ্যে কোনও মতবিরোধ নেই। আসলে পাহাড়বাসী সবাই উন্নয়নের কাজে নিজেদের সামিল করতে চাইছেন। তাই সবাই প্রার্থী হতে চাইছেন। আমরা যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করে প্রার্থী করব।” এই অবস্থায় মোর্চা বিরোধী দলগুলি পৃথক ভাবে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি আপাতত সরিয়ে রেখে জোট বাঁধতে চাইছে। গোর্খা লিগ, সিপিআরএম ও সিপিএমের মধ্যেও আলোচনা শুরু হয়েছে। সিপিআরএম সূত্রের খবর, তারা সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু, বিরোধী মঞ্চ হলে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থনের কথা ভাবছে সিপিআরএম। আগামীকাল, বুধবার সিপিআরএম নেতৃত্ব ফের বৈঠকে বসবেন। সিপিআরএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অরুণ ঘাটানির অভিযোগ, মোর্চার দাপটে পাহাড়ে এখন গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। তাঁর বক্তব্য, “তাই আমরা ভোটে লড়ব না বলেই আপাতত ঠিক করেছি।” তবে আগামী দিনে বৈঠকের পরে নয়া অবস্থান ঘোষণা করা হতে পারে বলে সিপিআরএম সূত্রের খবর। সিপিআরএমের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমন পাঠক। তাঁর বক্তব্য, “এখন যা অবস্থা তাতে লোকসভা, বিধানসভার ভোটের পুনরাবৃত্তি ছাড়া কিছুই হবে না। আমি জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সব বলেছি। আমরা আশঙ্কা করছি, মোর্চা ভয়, হুমকিতে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন কী না। অন্য দলগুলির সঙ্গেও আলোচনা চলছে।” পুরসভার প্রার্থী নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা খোলাখুলি স্বীকার করে নিয়েছেন গোর্খা লিগের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতি। তিনি বলেন, “পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরেনি। অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন না। আবার পার্টি কর্মী কেউ প্রার্থী হতে চাওলেও প্রস্তাবক পাওয়া যাবে না বলেই মনে হচ্ছে। আসলে ভোটের পর বাড়ি বাড়ি হামলা, বয়কটের ভয় এখনও মানুষের মধ্যে রয়েছে। জেলা প্রশাসন গণতন্ত্রের কথা বললেও আদতে তা নেই পাহাড়ে।” বস্তুত, গত লোকসভা, বিধানসভা ভোটে মোর্চার একাধিপত্য দেখা গিয়েছে। তার মধ্যেও গত বিধানসভা ভোটে মোর্চা বিরোধী দলগুলি পাহাড়ের তিন আসনে ৫০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। তাই বিরোধী দলগুলি জোট বেঁধে মোর্চার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার কথা ভাবছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.