পুলিশের চাকরির পাশাপাশি জঙ্গলমহলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে এ বার মাছ-চাষে সহায়তার পরিকল্পনা নিল রাজ্য সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাওবাদী প্রভাবিত ১১টি ব্লককেই (ঝাড়গ্রাম মহকুমার ৮টি ব্লক এবং মেদিনীপুর সদর, গোয়ালতোড় ও শালবনি) মাছ-চাষ প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। মজে যাওয়া সরকারি এবং বেসরকারি জলাশয়, জলাধার, পুকুরগুলি সংস্কার করে মাছ চাষে উৎসাহীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চলতি মাসেই শুরু হবে বলে মৎস্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। দফতরের উপ-অধিকর্তা (পশ্চিমাঞ্চল) উৎপল সর বলেন, “জঙ্গলমহলে বহু পুকুর, জলাশয় অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে। সেখানে মাছ চাষ হতেই পারে। তাতে রোজগারের সুযোগও বাড়ে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় কৃষি-বিকাশ যোজনা এবং মৎস্য দফতরের যৌথ ব্যবস্থাপনাতেই জঙ্গলমহলের ১১টি ব্লকে প্রাথমিক ভাবে দু’শোটির মতো জলাধারে মাছ-চাষের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। চাষিদের মাছের চারা, চুন থেকে চাষের সব সরঞ্জামও দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে আপাতত এক কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এই উদ্যোগ সফল হলে বরাদ্দ আরও বাড়বে। দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শুরুতে পোনা, মাগুর এবং গলদা চিংড়ির চাষ হবে। পরে বিভিন্ন ব্লকে জলের পরিবেশ দেখে অন্য মাছেরও চাষ হবে।
জঙ্গলমহলের প্রতিটি ব্লকে সরেজমিন পরিদর্শন করেই এই প্রকল্পের জন্য পুকুরগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে মৎস্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সরকারি পুকুর-জলাধারও রয়েছে। এই জলাশয়গুলিতে মাছ চাষ করলে আর্থিক দিক দিয়ে ‘স্বনির্ভর’ হওয়ার সম্ভবনা থাকবে জঙ্গলমহলের বেকার যুবক-যুবতীদের। একশো দিনের প্রকল্পেও জলাশয় সংস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে। মৎস্য দফতরের উপ-অধিকর্তা (পশ্চিমাঞ্চল) উৎপল সর বলেন, “সরকার জঙ্গলমহলের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। মাছ চাষের বিষয়টি নিয়ে দফতরের তরফে প্রচারও করা হবে।”
পুলিশের উদ্যোগ। রবিবারবেলিয়াবেড়া থানার উদ্যোগে এলাকার ১২৫ জন দুঃস্থকে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হল। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিএসপি (ট্রাফিক) সন্তোষ মণ্ডল, বেলিয়াবেড়া থানার ওসি বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। |