টুকরো খবর

কঙ্কাল-কাণ্ডে এ বার ধৃত তৃণমূলকর্মী
কঙ্কাল-কাণ্ডে ধৃত বিশ্বরূপ ঘোষ। সোমবার মেদিনীপুর আদালতে তোলা নিজস্ব চিত্র।
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে এ বার গ্রেফতার হলেন এক তৃণমূল কর্মী। তবে ৯ বছর আগে ঘটনার সময় বিশ্বরূপ ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি সিপিএমের সঙ্গে ছিলেন বলে খবর। রবিবার কেশপুরের পিয়াশালা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। স্থানীয় ও তৃণমূল সূত্রের খবর, এক সময়ে সিপিএমের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বিশ্বরূপ। এ বারের বিধানসভা ভোটের আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর বাড়িতে দলের একটি কার্যালয়ও খোলা হয়। কঙ্কাল-কাণ্ডে বিশ্বরূপের নাম জড়ানোর পরে ‘অস্বস্তি’তে পড়েছিল রাজ্যের নতুন শাসকদল। তবে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “আইন আইনের পথেই চলবে।” সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্ব এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। সোমবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হয় বিশ্বরূপকে। তাঁকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল-হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কেশপুরের পিয়াশালা গ্রাম থেকে ৭ জন তৃণমূল কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুমখুনের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে। রাজ্যে পালাবদলের পরে দাসেরবাঁধ এলাকার বেনাচাপড়া থেকে হাড়গোড় উদ্ধার হতে সেই অভিযোগ ভিন্ন মাত্রা পায়। এই কঙ্কাল-কাণ্ডে ধরা পড়েন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ।

বিদ্যুদয়নে দুর্নীতি, কাঁথিতে তদন্ত কমিটি
গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্প নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তৈরি হল তদন্ত কমিটি। কাঁথি মহকুমার কাঁথি ১, দেশপ্রাণ ও কাঁথি ৩ ব্লকের জন্যই এই কমিটি গড়া হয়েছে। জেলা বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায় বলেন, “ওই ৩টি ব্লকে গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন নিয়ে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।” এ নিয়ে গত ৪ নভেম্বর কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে এক পযার্লোচনা বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন কাঁথির মহকুমাশাসক সুমিত গুপ্ত, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায়, তিনটি ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষরা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার ডেপুটি প্রোজেক্ট ম্যানেজার বিদ্যুৎ দাস। বৈঠকে বিদ্যুৎবাবু প্রকল্পের ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ পেশ করলে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়ে। রিপোর্ট অনুসারে কাঁথি ১ ব্লকে অনুমোদিত বিদ্যুৎ খুঁটির সংখ্যা ৭০৯৫টি হলেও খুঁটি এসেছে ৭৬৬০টি এবং পোঁতা হয়েছে ৭০৮২টি। দেশপ্রাণ ব্লকে অনুমোদিত ১০৬৯৫টি খুঁটির মধ্যে এসেছে ৯৫২৫টি, পোঁতা হয়েছে ৮৮২৮টি। আর কাঁথি ৩ ব্লকে অনুমোদিত ৯১৭৭টি খুঁটির মধ্যে এসেছে ১০৪৭৮টি এবং পোঁতা হয়েছে ১০৪৩২টি খুঁটি। সহ-সভাধিপতি বলেন, “৩টি ব্লকের ৮৩টি মৌজায় কোন খুঁটিই পড়েনি। ঠিকাদাররা অর্থের বিনিময়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ। এর ফলে বিদ্যুদয়নের কাজ শ্লথ গতিতে চলছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।” কমিটিতে মহকুমাশাসক, বিডিও, পঞ্চায়েত, ঠিকাদার সংস্থা ও জেলাপরিষদের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর আগামী ১৭ নভেম্বর ফের বৈঠকে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এফআইআর দায়ের করা হবে বলে জানান মামুদ হোসেন।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু বৃদ্ধের
সড়ক পার হতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে তমলুক থানার ডিমারির কাছে নয়াবসান গ্রামে, হলদিয়া-মেচেদা রাজ্যসড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুধীর রায় (৬৫)। বাড়ি স্থানীয় বাড়-খোসখান গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে খালে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন সুধীরবাবু। রাস্তা পার হওয়ার সময় তমলুকগামী একটি মালবোঝাই গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।

হলদিয়া জেলে ঈদের অনুষ্ঠান
খুন-ন্ত্রাস-ডাকাতি-জালিয়াতি। ওঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। কিন্তু উৎসবের দিনে সে সব ভুলে আনন্দে মাতলেন হলদিয়া সংশোধনাগারের ৪৮ জন কয়েদি। সোমবার ঈদুজ্জোহার সকালে প্রথা মেনে নমাজ পড়ে শুরু হল দিন। ডিঘাসিপুরের ‘আবাহনী চক্র’ ও জেল কর্তৃপক্ষের এই আয়োজনে কয়েদিরা খুশি। ‘আবাহনী চক্রে’র তরফে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওই ৪৮ জনকে নতুন পোশাকও দেওয়া ছিল। তা ছাড়া, জেলে উপস্থিত সকলের জন্য ছিল মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। উদ্যোক্তা সংস্থার কার্যকরী সভাপতি নূর হুসেন বলেন, “উৎসবের দিনে ওঁদের মনে একটু খুশির আবহ ফিরিয়ে দেওয়ার ভাবনা থেকেই আমরা সরকারি ছাড়পত্র নিয়ে এই আয়োজন করেছি।’’ জেলের ভিতরে এমন একটি উৎসবের দিনে কয়েদিদের মুখে হাসি দেখে খুশি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষও। জেল সুপার সন্তোষ সরকার বলেন, ‘‘আজকের দিনে আমরাও ওঁদের জন্য কোনও বাধানিষেধ রাখিনি। ওঁরা একত্রিত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে, আমাদেরও ভাল লেগেছে।”

সংগঠনের শাখা
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ঘাটাল শাখার উদ্বোধন হল শুক্রবার। এই উপলক্ষে কোন্নগরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মহকুমার ৫টি পুরসভা ও ৫টি ব্লকের মোট ২৫টি ক্লাবকে ২টি করে ফুটবল দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই, দিলীপ মাঝি, পঞ্চানন মণ্ডল প্রমুখ।

তিন প্রতারক ধৃত ঘাটালে
সাধু সেজে প্রতারণার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ক’দিন ধরেই ঘাটাল থানার বিভিন্ন এলাকায় গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে নানা অছিলায় মেয়ে-বউদের ভয় দেখিয়ে টাকা, সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছিল। কেউ নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ না করলেও বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। সেই মতো রবিবার স্থানীয় শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম থেকে অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার ধৃতেরা অবশ্য ঘাটাল আদালতে জামিন পেয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারকদের এই দলে মোট ৭ জন রয়েছে। তাদের মধ্যে ধৃত মঙ্গল যোগী, তুলসিরাম যোগী ও রাজেশ যোগী শুক্রবারই ঘাটালে এসেছিল বলে তদন্তে পুলিশ জেনেছে। ধৃতেরা সকলেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।

রাস শুরু ১০ই
পূর্ব মেদিনীপুরের ঐতিহ্যবাহী ময়নার রাস মেলা শুরু হচ্ছে আগামী ১০ নভেম্বর। এ বারও রাসমেলা হচ্ছে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির পৃষ্ঠপোষকতায়। মেলা কমিটির সম্পাদক বিমান পণ্ডা জানান, ময়না রাজ পরিবারের ঐতিহ্যবাহী এই রাসমেলা ৪৫১ বছরে পড়ল। নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেলা চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

মাটি চাপা পড়ে মৃত মা ও ছেলে
হাসপাতালে জখম পূর্ণিমা নিজস্ব চিত্র
মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হল মা ও ছেলের। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বিনপুরের আঁধারিয়া অঞ্চলের গোপীনাথপুর গ্রামে। মৃতেরা হলেন রুমা শেঠ (৩৬) ও তন্ময় শেঠ (১৩)। জখম হয়েছেন রুমাদেবীর বড়মেয়ে পূর্ণিমা ও ছোট-জা নমিতা। তাঁদের ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর পূর্ণিমার বিয়ে। তাই মাটির বাড়ির দেওয়াল রং করার তোড়জোড় চলছিল। এ দিন সকালে গ্রামের কাছেই খড়ি-মাটি সংগ্রহ করতে গ্রাম্য-খাদানে যান পূর্ণিমারা। দীর্ঘদিন ধরে খড়ি-মাটি সংগ্রহ করায় ওখানে সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে পূর্ণিমা বলেন, “খাদানের ভিতর ঢুকে মা আর ভাই খড়ি-মাটি নিচ্ছিল। আচমকা ওপর থেকে চাঙড় খসে পড়ে।” স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। হাসপাতালে আনা হলে রুমাদেবীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বিকেলে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তন্ময়ের। নমিতাদেবীর স্বামী সমীর শেঠ বলেন, “এই ঘটনায় পরিবারের সকলেই ভেঙে পড়েছেন। নির্ধারিত দিনে পূর্ণিমার বিয়ে আদৌ দেওয়া যাবে কি-না তা নিয়ে আমরা সংশয়ে রয়েছি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.