কোথাও ঝাঁপ বন্ধ, কোথাও যন্ত্র বিকল |
এটিএম নিয়ে ভোগান্তি মেদিনীপুরবাসীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলেও গ্রাহকদের স্বার্থে চালু থাকার কথা এটিএম (অটোমেটেড ট্রেলার মেশিন)। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে শনিবার সন্ধের পর থেকেই মেদিনীপুর শহরের গোটা পনেরো এটিএমের প্রায় সব কটিই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। কোনওটির ঝাঁপ বন্ধ, কোথাও আবার মেশিন জানাচ্ছে, ‘টেম্পোরারিলি আনেবল টু ডিসপেন্স ক্যাশ’। সরকারি, বেসরকারি সব ব্যাঙ্কের এটিএম-এরই এক দশা। |
|
রবিবার ছুটির দিন। সোমবারও ছুটি ছিল ঈদুজ্জোহা উপলক্ষে। ফলে, মেদিনীপুর শহর জুড়ে দু’দিন ধরে গ্রাহকদের ভোগান্তির অন্ত নেই। কিন্তু কেন এই অবস্থা? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার তথা সরকার ও ব্যাঙ্কের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী আধিকারিক অরবিন্দ মহাপাত্র বলেন, “টাকা কমে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। কী ভাবে সমস্যা মেটে, বিশেষত ছুটির দিনে যাতে এমন না হয় সে জন্য শীঘ্রই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ও সরকারের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করা হবে।” তবে কী ভাবে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম-এ একসঙ্গে টাকা কমে গেল, সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্ক মিলিয়ে মেদিনীপুর শহরের প্রায় ১৫টি এটিএম রয়েছে। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
টাকা তোলার ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা অনেকটাই যন্ত্র-নির্ভর হয়ে পড়েছেন। ব্যাঙ্কে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তোলার অভ্যাস ক্রমশ কমছে। এই পরিস্থিতিতে প্রায় সব কটি এটিএম বিকল হয়ে পড়ায় দুর্ভোগের অন্ত নেই। শহরের বাসিন্দা সুব্রত মাইতি বলেন, “শনিবার সন্ধে থেকে সোমবার পর্যন্ত কোনও এটিএমেই টাকা পেলাম না। এ বার ধার করা ছাড়া উপায় নেই।” অনেকে আবার রোগী নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পড়ছেন। শহরে এটিএম-দুর্ভোগ অবশ্য অপরিচিত নয়। হামেশাই একাধিক এটিএমের ঝাঁপ বন্ধ থাকে। কোথাও আবার বিকল থাকে যন্ত্র। তবে এ বারের পরিস্থিতি সব কিছু ছাপিয়ে গিয়েছে। দুর্ভোগে দাঁড়ি টানতে সংযোগকারী আধিকারিক দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকেও সক্রিয় থাকতে হবে।” |
|