|
|
|
|
দিল্লি যাচ্ছে পড়ুয়াদের ডোকরার কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পড়াশোনার পাশাপাশিই চলে হাতের কাজ শেখা। এ বার তারই স্বীকৃতি পেল মেদিনীপুর জওহর নবোদয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের তৈরি ডোকরা শিল্পের নানা কাজ যাচ্ছে দিল্লিতে, ‘ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন মিট ২০১১’ শীর্ষক এক প্রদর্শনীতে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বলের। আগামী শনিবার রাজধানী শহরে নিজেদের হাতের কাজ তুলে ধরবেন স্কুলের দুই ছাত্র সঞ্জু দে ও সঞ্জয় মাণ্ডি। সঙ্গে যাচ্ছেন কারুশিল্পের শিক্ষক সোমনাথ বিশ্বাস। সোমনাথবাবু বলেন, “পিতল দিয়ে মূর্তি হোক বা যে কোন থিম ফুটিয়ে তুলতে খুব পরিশ্রম করতে হয়। অনেক চিন্তাভাবনাও করতে হয়। আমি কেবল ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিয়েছি। ওরাই সব তৈরি করেছে।” |
|
নিজেদের তৈরি শিল্পকর্ম নিয়ে নবোদয় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র। |
পেঁচা, হাতির মুখ, বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি নানা ধরনের জিনিস বানানো হয়েছে পিতল দিয়ে। কী ভাবে বানানো হয়েছে প্রদর্শনীতে তা-ও দেখানো হবে। ডোকরার সামগ্রী তৈরি করতে পিতল, কাদা, ধুনো, মোম, বালি, কাঠকয়লা-সহ নানা সরঞ্জাম লাগে। প্রথমে মাটি দিয়ে তৈরি করা হয় মডেল। তারপর তাতে মোম, গালা ভরতে হয়। আগুনে পুড়িয়ে গরম করার পর জলে ডুবিয়ে ঠান্ডা করা হয়। আগুনে পোড়ানোর সময়ই তৈরি করা হয় যাবতীয় নকশা। দশম শ্রেণির ছাত্রী মৌমিতা দত্ত, সুলতা রানা, অঙ্কিতা মাইতিরা বলল, “আমরা কাজ করতাম সন্ধের পর। এক একটি মূর্তি বা থিম তৈরি করতে ৫-৭ দিন লেগে যায়। আমাদের হাতের কাজ দিল্লিতে দেখানো হবে, কী ভাবে তৈরি করেছি তা সকলকে বোঝানো হবে জেনে ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। দিল্লিতে সকলের প্রশংসা পেলে আরও ভাল লাগবে।” পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর ডোকরা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। বাঁকুড়ার বিভিন্ন গ্রাম এই শিল্পের আঁতুড়ঘর। এই শিল্পকর্মের পিছনে রয়েছে মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম। শিক্ষক সোমনাথবাবু বলেন, “দক্ষিণবঙ্গের অনেক গ্রামেই এই শিল্প ছড়িয়ে রয়েছে। তা থেকে উৎসাহিত হয়েই ছাত্রছাত্রীদের তা শেখানোর চেষ্টা করছি।” |
|
|
|
|
|