অশান্তি ভুলে রাস জঙ্গলমহলে
শান্তি কাটিয়ে রাস উৎসবে মেতে উঠেছে জঙ্গলমহল। রবিবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলিয়াবেড়া থানার চোরচিতা গ্রামে স্থানীয় দত্তপাড়ার উদ্যোগে শুরু হয়েছে দুই শতাব্দী প্রাচীন রাস উৎসব ও কুঞ্জ মেলা। ৬ দিন ব্যাপী উৎসব ও মেলা চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। রবিবার বিকেলে সংকীর্তন-পরিক্রমা দিয়ে শুরু হয় উৎসব। সেই সঙ্গে ধূপ ও ধুনোর মাঙ্গলিক আরত্রিক-দলের সঙ্গে ফুল ও আবির ছড়িয়ে সম্প্রীতির পরিক্রমায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ। প্রথাগত ভাবে উৎসবের সূচনা করেন শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরের মহান্ত কৃষ্ণকেশবানন্দ দেবগোস্বামী। উৎসব উপলক্ষে প্রতিদিন ভাগবদ্গীতা-পাঠ, লীলাকীর্তন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কুঞ্জমেলায় বিভিন্ন পৌরাণিক ঘটনা উপস্থাপিত করা হয়েছে তিরিশটি মূর্তির মাধ্যমে। রয়েছে রংবেরঙের আলোকসজ্জা। বৃহস্পতিবার রাসপূর্ণিমার দিন রাস-উৎসবের উৎপত্তি ও তাৎপর্য সম্পর্কে একটি আলোচনাসভায় অংশ নেবেন শিক্ষাজগতের বিশিষ্টজনেরা।
চোরচিতা গ্রামে রাস উৎসব। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
আগে বেলিয়াবেড়া এলাকাটি ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের তৎকালীন চিয়াড়া পরগণার অধীনে ছিল। ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে চোরচিতার জমিদার বৈদ্যনাথ দত্ত এই রাস উৎসবের সূচনা করেন। উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ময়ূরভঞ্জের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ভঞ্জ। জনশ্রুতি, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র হাতির পিঠে চেপে আসতেন রাস উৎসবে। জাঁকজমকের রাস দেখতে আসতেন দূর দূরান্তের হাজার হাজার মানুষ। জঙ্গলমহলের অশান্তির জন্য গত দু’বছর নিয়ম রক্ষার রাস উৎসব পালিত হয়েছিল। পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বাভাবিক হয়ে ওঠায় শতাব্দী-প্রাচীন ঐতিহ্যের রাস উৎসবের পুরনো জৌলুস এবার অনেকটাই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন উদ্যেক্তারা। উৎসব-কমিটির সম্পাদক পূর্ণেন্দুবিকাশ দত্ত বলেন, “রাস-উৎসবের প্রতিটি কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.