|
|
|
|
মেহতাবদের জাতীয় শিবিরে যাওয়া নিয়ে নাটক |
ড্যানিয়েলকে নিয়ে তাড়াহুড়ো চান না সুব্রত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ড্যানিয়েল জিলানি না সাইমন স্টোরিমোহনবাগানের নড়বড়ে রক্ষণ সামাল দিতে কাকে শেষ পর্যন্ত বাছবেন সুব্রত ভট্টাচার্য তা জানতে আরও দু’তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে। সোমবার মোহনবাগান টিডি বলে দিলেন, “দু’জনকেই দেখব। পছন্দ হলে নেব। যদি কাউকেই না পছন্দ হয়, তা হলে নতুন ফুটবলার খুঁজতে হবে।”
এ দিকে রবিবার রাতে গল্ফগ্রিন মোড়ে সুব্রতর বাড়িতে কে বা কারা পাথর ও বোতল ছোড়ে। বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ করা হয়। পুণে থেকে সোমবার রাতে কলকাতা ফিরে সুব্রত বলেন, “কারা এমন করল কিছুই বুঝতে পারছি না।” গল্ফগ্রিনের ওই মোড়ে রাতে সমাজবিরোধীদের ভিড়। পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না দীর্ঘ দিন।
বৃহস্পতিবারই খেলতে হবে চার্চিল ব্রাদার্সের সঙ্গে। তারপর কলকাতা লিগ এবং বড় ম্যাচ মিলে একের পর এক খেলা। তার মধ্যেই আই লিগের ডিফেন্ডার বাছার কাজটা করতে হবে। যা অবস্থা তাতে মঙ্গল ও বুধবার দুই অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলারকে দেখার সুযোগ পাবেন সুব্রত।
সাইমন এবং ড্যানিয়েল দু’জনেই ট্রায়াল দিতে নামার আগে প্রস্তুতির জন্য সোমবার মাঠে নেমে পড়েছিলেন। দলের রি-হ্যাব স্পেশালিস্ট জোনাথন এ দিন জিলানিকে বল নিয়ে অনুশীলন করতে বারণ করেন। সিডনি অলিম্পিক ক্লাবের ফুটবলারকে দেখে অবশ্য গোলকিপার কোচ হেমন্ত ডোরা আশাবাদী। বললেন, “মনে হল ভাল কন্ডিশনে আছে। চেহারা, উচ্চতা ভাল। বয়সও কম। ভালই মনে হচ্ছে।” |
|
ওডাফা ও ড্যানিয়েল জিলানি। মোহনবাগান অনুশীলনে প্রথম সাক্ষাৎ।-নিজস্ব চিত্র। |
ক্লাব সূত্রের খবর, সাইমনকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে কর্তারা একমত। তবুও বাদ দেওয়ার আগে সুব্রতর মত নিতে চান কর্তারা। জানা গেছে, ফিফার যা নিয়ম, তাতে ফ্রি প্লেয়ার জিলানিকে কোচিং টিমের পছন্দ হলে নথিভুক্তি করাতে সমস্যা নেই। ক্লাবের কাছে আরও জনা তিনেক ফুটবলারের জীবনপঞ্জী এসেছে। ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “ওই দু’জনকে দু’তিন দিন দেখে যদি কোচিং টিমের পছন্দ না হয় তা হলে অন্যদের ডাকা হবে।”
সুব্রতর সঙ্গে কথা বলে মনে হল বিদেশি ডিফেন্ডার বাছার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে রাজি নন তিনি। কারণ আগামী দু’দিনে আরও কতগুলো সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁকে। চোট পাওয়া ওডাফা, ব্যারেটো, সুরকুমার বা জন্ডিস সারিয়ে মাঠে ফেরা ফুটবলারদের নিয়ে। সুব্রত বলেও দিলেন, “অনেক ভেবে এগোতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
এ দিকে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়ার ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান কর্তারা একমত হলেও চোট পাওয়া ফুটবলারদের পাঠানো নিয়ে জটিলতা হতে পারে। প্রতিবার যা হয়, তাই শুরু হয়ে গিয়েছে। নাটক। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “মেহতাব হোসেন এবং রাজু গায়কোয়াড়ের চোট। ওদের ছাড়ব না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা যাবে।” মোহন সচিব আবার ইঙ্গিত দিলেন, চোট পাওয়া আনোয়ারকে শিবিরে পাঠাতে সমস্যা নেই।
ফেডারেশনের নিয়ম, চোট পেলেও সেই ফুটবলারকে পাঠাতে হবে। ফেডারেশনের ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেবেন, কী হবে। সেটা মেহতাবদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। মেহতাব মঙ্গলবার ক্লাব প্র্যাক্টিসে পুরো সময়ের প্র্যাক্টিস করতে চান। বললেন, “ফেডারেশন আমায় বলেছে, ওখানে গিয়ে একবার ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে। দেখি কী দাঁড়ায়।” অতীতে ডেম্পো চোট পাওয়া ফুটবলারদের ছাড়েনি বলে তাদের জরিমানা করেছিল ফেডারেশন। এ বার গোয়ার ক্লাবগুলোর কোনও চোট পাওয়া ফুটবলার নেই। ফেডারেশনের এক কর্তা বললেন, “মেহতাব-রাজুর চিঠি এসেছে। কোনও ডাক্তারের সার্টিফিকেট আসেনি। এখন ডাক্তারি সার্টিফিকেট যদি আসে যে রাজু নড়াচড়া করতে পারছে না, তা হলে ওকে আসতে হবে না। নইলে আসতে হবে।” এ দিকে ইস্টবেঙ্গলের তরুণ সাইডব্যাক অভিষেক দাসের অস্ত্রোপচার হল। তিনি দীর্ঘ দিন বাইরে চলে গেলেন। মর্গ্যান ফেডারেশন কাপের শুরুতে অভিষেককেই প্রথম দলে রেখেছিলেন। |
|
|
|
|
|