বছর খানেক আগে বিহার ভোটে যে রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন রাহুল গাঁধী, আজ তাঁরই অভিনেতা-পুত্র চিরাগ পাসোয়ানের নতুন ছবি দেখতে গেলেন তিনি।
রামবিলাস পুত্রের এটিই প্রথম ছবি। ‘মিলে না মিলে হম’ নামে এই ছবিতে চিরাগের নায়িকা কঙ্গনা রানাউত। দক্ষিণ দিল্লির সাকেতে একটি প্রেক্ষাগৃহে আজ বিকেলে রামবিলাস পাসোয়ান ও চিরাগের সঙ্গে বসে ছবিটি দেখলেন রাহুল। পাসোয়ানের সঙ্গে গাঁধী পরিবারের তরুণ প্রজন্মের এই সখ্য স্বাভাবিক ভাবেই নতুন রাজনৈতিক জল্পনা উস্কে দিয়েছে। |
চিরাগ পাসোয়ান |
রাহুল গাঁধী |
|
জনপথ রোডে সনিয়া গাঁধীর প্রতিবেশী রামবিলাস। ২০০৪ সালে ইউপিএ জোট গঠনের সময় রামবিলাসকে শরিক করার জন্য পায়ে হেঁটেই তাঁর বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন সনিয়া। কংগ্রেসের তরফে আজ বলা হয়েছে, রামবিলাস ও তাঁর ছেলে চিরাগ অনেক বার করে রাহুলকে অনুরোধ করেছিলেন, যাতে তিনি ছবিটি দেখতে যান। রাহুল গেলে স্বাভাবিক ভাবেই ছবির একটা প্রচারও হবে। তবে রাজনৈতিক সূত্রে বলা হচ্ছে, বিহারে ‘একলা চলো’ নীতি নিয়ে কংগ্রেসের ফল খারাপ হওয়ার পর এখন রাহুলও পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করছেন। উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রীয় লোকদল নেতা অজিত সিংহের সঙ্গে জোট গড়ার জন্য আলোচনা চালাচ্ছেন রাহুল। হতেই পারে যে, পরবর্তী লোকসভা ভোটে বিহারে ফের লালুপ্রসাদ ও রামবিলাসের সঙ্গে জোট গড়বে কংগ্রেস। কেননা পরিংসখ্যান বলছে, বিহারে লালু ও পাসোয়ান প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হলেও তাঁদের ভোট শতাংশের হার আগের থেকে খুব কমেনি। |
বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হওয়াতেই তাঁরা পরাস্ত হন। এখন যেহেতু রাজনৈতিক ভাবে দু’জনেই দুর্বল, তাই জোট করলে তাদের সঙ্গে দর কষাকষিতে আগের থেকে সুবিধা হতে পারে কংগ্রেসের। তবে লোকসভা ভোটে কী হবে সেটা পরের কথা। সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনের আগে এখন এমনিতেই লালু-পাসোয়ানের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছে কংগ্রেস। কারণ বিহারের এই দুই নেতাই অণ্ণা-বিরোধী। ফলে তাঁদের কাজে লাগাতে চাইছেন কংগ্রেসনেতৃত্ব। সম্প্রতি লালু-পাসোয়ানের সঙ্গে পরপর দু’দিন দীর্ঘ বৈঠক করেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ও।
সব মিলিয়ে কেবল বিনোদনের জন্যই যে রাহুল চিরাগের নতুন ছবি দেখতে গিয়েছেন, এমনটা মনে করছেন না কেউই। বরং নেপথ্যের অন্য চিত্রনাট্য নিয়েই জল্পনা সকলের। |