মূল্যবৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম-নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে আজ, মঙ্গলবার দুপুর থেকেই অচল হওয়ার আশঙ্কা ধর্মতলা চত্বরের। বাম ও অ-বাম শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে সারা দেশ জুড়ে ‘জেল-ভরো’ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। কলকাতার রানি রাসমণি রোডের কেন্দ্রীয় জমায়েতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ যোগ দেবেন বলে মনে করছেন সিটুর রাজ্য নেতারা। ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিন কোনও কাজ হয়নি। সে অর্থে মঙ্গলবারই সপ্তাহের প্রথম ‘কাজের দিন’।
দেশ জুড়ে এই আন্দোলনে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কংগ্রেস প্রভাবিত আইএনটিইউসি থাকলেও এ রাজ্যে তারা পৃথক ভাবে আইন-অমান্য করবে। কারণ, বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি অন্য বিষয়ের সঙ্গে এ রাজ্যে ‘সন্ত্রাস’-এর বিরোধিতাও করছে। তাতেই আপত্তি আইএনটিইউসির। এসইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি এবং সিপিআই (এমএল) লিবারেশন-এর শ্রমিক সংগঠন এআইসিসিটিইউ-ও পৃথক ভাবে আইন-অমান্য করবে। সব মিলিয়ে এ দিন দুপুর ১২টার পর থেকেই মধ্য কলকাতা অচল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কলকাতার কেন্দ্রীয় সমাবেশে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেও বহু মানুষ আসবেন। তাঁদের বড় অংশ আসবে হাওড়া ও শিয়ালহ স্টেশন থেকে। তা ছাড়া বাস বা লরি ভাড়া করেও বহু মানুষ আসবেন। লেনিন সরণি, জওহরলাল নেহরু রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল এসে জড়ো হবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে। আইন অমান্য শুরু হবে দুপুর ১টা থেকে। সিটুর রাজ্য সম্পাদক কালীবাবু বলেন, “৫ হাজার মানুষ আইন অমান্য করবেন।” |