হলদিয়ায় নির্মীয়মাণ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যত বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, তার অন্তত ৭০ শতাংশই নিজের গ্রাহকদের সরবরাহ করবে সিইএসসি।
যে ভাবে গ্রাহক বাড়ছে, তাতে আগামী তিন বছরের মধ্যে সিইএসসি-এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় দু’হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়াবে বলে সংস্থার অনুমান। যা বর্তমান চাহিদার ৪০০ মেগাওয়াট বেশি।
এমতাবস্থায় হলদিয়ার নির্মীয়মাণ ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি গ্রাহকদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে বলে সিইএসসি-সূত্রের খবর। বাকিটা যাবে জাতীয় গ্রিডে।
সিইএসসি-কর্তাদের দাবি: ২০১৪-র অগস্ট বা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই হলদিয়ায় উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। হলদিয়ার প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে বানেশ্বরচকে ৩৫০ একর জমির উপরে তৈরি হচ্ছে ৬০০ মেগাওয়াটের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে ৩ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করেছে সিইএসসি। সেখানে তিনশো মেগাওয়াটের দু’টো ইউনিট থাকবে। ওখান থেকে ৪২০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ সিইএসসি-এলাকায় পাঠানো হবে। বাকি ১৮০ মেগাওয়াট দেওয়া হবে জাতীয় গ্রিডে। অবশ্য প্রয়োজনে তা-ও সিইএসসি-এলাকায় সরবরাহ করা হতে পারে বলে সিইএসসি-র সূত্রটি জানান।
অক্টোবরে হলদিয়া প্রকল্পের নির্মাণে হাত দিয়েছে সিইএসসি। সংস্থা-সূত্রের খবর: আগামী ৩৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সিইএসসি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, ২০১৪-র অগস্টের মধ্যে প্রকল্প সম্পূর্ণ না-হলে কলকাতার গ্রাহকদের চাহিদা মেটানো যাবে না। লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
এখন সিইএসসি মোট যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, তার মধ্যে বজবজের তিনটি ইউনিটের ক্ষমতাই সর্বাধিক। ২৫০ মেগাওয়াট করে তিনটি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা মোট ৭৫০ মেগাওয়াট। যা থেকে কম-বেশি ৬৫০-৭০০ মেগাওয়াট পায় সিইএসসি। এ ছাড়া সংস্থার ছোট-মাঝারি আরও তিনটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আসে ৪০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি। এই সব মিলিয়ে নিজেদের কেন্দ্রগুলি থেকে ১১০০ মেগাওয়াটের সংস্থান করার পরেও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি থেকে আরও ৪৫০-৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনে সিইএসসি কলকাতার গ্রাহকদের চাহিদা মেটায়।
হলদিয়া উৎপাদনে নামলে অন্য সংস্থা থেকে যেমন কম বিদ্যুৎ কিনতে হবে, তেমনই জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ জুগিয়ে উপার্জনও হবে বলে সিইএসসি-কর্তাদের আশা। |