ঘন কচুরিপানায় ঢেকেছে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বাঁশদহ বিল। বিপাকে পড়েছেন কয়েকশো মৎস্যজীবী। সম্প্রতি জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা ওই বিল পরিদর্শনে যান। তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন। শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে অই জলাশয়টি। আয়তন প্রায় ৬৫ একর। বহু বছর ধরে এই বিলে মাছ ধরে সংসার চালান বিদ্যানগর, বড়কোবলা, ছোটকোবলা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকার মৎস্যজীবীরা। ওই সব এলাকার মৎস্যজীবীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে কোবলা-চাপাহাটি মৎস্যজীবী সমবায়। তার তরফে বিভিন্ন সময়ে মাছের চারাও ছাড়া হয়। |
মৎস্যজীবীদের দাবি, ২০০০ সালে বন্যার পর থেকেই বিলে এই ঘন কচুরিপানার সমস্যা দেখা দেয়। বর্ষার সময়ে আশপাশের কৃষিজমি থেকে নালা বেয়ে ভেসে আসে কচুরিপানা। পরে বিলের জলে দ্রুত বংশবিস্তার করতে থাকে। শীতের শুরু থেকেই কচুরিপানার সংখ্যা এতটাই বাড়তে থাকে যে নৌকা নিয়ে যাওয়া যায় না। এমনকী জাল ফেলতেও সমস্যা হয়। মৎস্যজীবী বিশু প্রামাণিক বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে বিলের কচুরিপানা পরিষ্কার করে আসছেন এলাকার মানুষ। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বার সংখ্যাটা অনেক বেশি হওয়ায় বিষয়টি পঞ্চায়েত ও স্থানীয় বিধায়ককে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি বর্ধমানের জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা পূর্বস্থলী ১ ব্লকে গেলে পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ তাঁকে বাঁশদহ বিলের মৎস্যজীবীদের সমস্যার কথা জানান। এর পরেই বিল পরিদর্শনে যান জেলাশাসক। মৎস্যজীবীদের কাছে সমস্যার কথা শুনে তিনি পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিডিও, শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের নির্দেশে ঠিক হয়, পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজে দ্রুত বিল থেকে কচুরিপানা তোলার কাজ শুরু করবে। কচুরিপানা তোলার পাশাপাশি বিল সংস্কারের জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। এ ব্যাপারে বিধায়ক স্বপনবাবু জানান, উন্নত যন্ত্রের মাধ্যমে যাতে বিলের তলার মাটি কেটে উপরে তোলা যায়, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসন সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।
শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মল্লিক বলেন, “বিলের মাটি যন্ত্রের মাধ্যমে উপরে তুলে তা থেকে পাড়ে রাস্তা ও নার্সারি তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন জেলাশাসক।” |