|
|
|
|
ডাক্তারকে হেনস্থায় অভিযুক্ত ওসি, তদন্তের নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
মহিলাদের কটূক্তি করছিল এক দল যুবক। তার প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে উল্টে তাঁকেই হেনস্থা করে বলে অভিযোগ কালনার বারুইপাড়ার চিকিৎসক বিশ্বজিৎ মণ্ডলের। তাঁর দাবি, গত ১০ অক্টোবরের এই ঘটনা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। তাই ৫ নভেম্বর কালনা এসিজেএম আদালতে কালনা থানার ওসি অমিত মিত্র, এসআই সুজিতকুমার মণ্ডল-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত কালনার এসডিপিও-কে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
দাঁতের চিকিৎসক বিশ্বজিৎবাবুর অভিযোগ, গত ১০ অক্টোবর বিকেলে কালনার ১৭ পল্লিতে একটি বসে আঁকো প্রতিযোগিতা চলছিল। সেখানে শিশুদের নিয়ে এসেছিলেন কয়েক জন মহিলা। আচমকাই প্রায় আট-দশ জন যুবক সেখানে এসে তাণ্ডব শুরু করে। তারা ওই শিশু ও মহিলাদের কটূক্তি করতে থাকে। মোটরবাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে এই ঘটনা দেখে বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বিশ্বজিৎবাবুর। টাকা, হাতঘড়ি, চিকিৎসা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র কেড়ে নেয় ওই যুবকেরা।
ওই চিকিৎসক জানান, তাঁর বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দিলে কালনা থানার এসআই সুজিতকুমার মণ্ডল ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বিশ্বজিৎবাবুর অভিযোগ, “তিনি কোনও জিজ্ঞাসাবাদ না করেই আমাকে গালাগাল শুরু করেন। জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ওসি অমিতবাবুও আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে পুলিশ ভ্যানে তুলে থানায় পাঠিয়ে দেন। কেন আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এই প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি। থানায় বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় আমাকে।” চিকিৎসক জানান, এই ঘটনায় তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাও করান।
বিশ্বজিৎবাবুর দাবি, এই ঘটনার সুবিচার চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে চিঠি পাঠান তিনি। কিন্তু কোনও জায়গা থেকেই প্রাপ্তি স্বীকার না করায় শেষ পর্যন্ত ৫ নভেম্বর কালনা আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিশ্বজিৎবাবুর আইনজীবী পার্থসারথি কর জানান, এসিজেএম অলোক চৌধুরী কালনার এসডিপিও-কে ঘটনার তদন্ত করে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে কালনার ভারপ্রাপ্ত এসডিপিও জ্যোতির্ময় রায় বলেন, “আমি আদালতের কোনও কাগজ হাতে পাইনি। কালনার এসডিপিও দফতরকে কোনও নির্দেশ এলে অবিলম্বে নথিপত্র আমার কাছে পাঠাতে বলেছি।”
কালনা থানার ওসি অমিত মিত্র অবশ্য বলেন, “বিশ্বজিৎবাবুর অভিযোগ মিথ্যা। ১৭ পল্লিতে একটা গোলমাল হয়েছিল। তাতে বিশ্বজিৎবাবু পুলিশের সাহায্য চান। তাঁর অভিযোগ নথিভুক্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। কিন্তু কেন উনি হঠাৎ আমার বা এসআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করলেন, বুঝতে পারছি না।” |
|
|
|
|
|