আজ আর রাজনীতির প্রশ্ন করবেন না। আজ ঈদ। কংগ্রেস-তৃণমূল-সিপিএম, সকলের খুশির দিন।
সোমবার কেতুগ্রামের রাজুরগ্রামে মামাশ্বশুরের বাড়িতে বসে বললেন রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। তাঁর সাফ কথা, “আজ কোনও রাজনীতির আলোচনা নয়। শুধু বাড়ির সকলের সঙ্গে আনন্দ করব।”
বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় বার মামাশ্বশুরের বাড়িতে এলেন মৌসম। তবে খুশির উৎসবে এই প্রথম। গত শনিবার তিনি আমেরিকা থেকে দিল্লি পৌঁছন। রবিবার বিকেলে কলকাতা থেকে সোজা চলে আসেন রাজুরগ্রামে। সঙ্গে ছিলেন স্বামী মির্জা কায়েশ বেগ। সোমবার দুপুরে বললেন, “বিমানযাত্রার ধকল এখনও কাটেনি। দু-তিন দিন ভাল করে ঘুমোতে চাই।” |
তিনি রাজুরগ্রামে আসার আগেই আসানসোল থেকে পৌঁছে গিয়েছেন শাশুড়ি মমতাজ বেগ। তিনি বলেন, “মৌসমের প্রিয় খাবার বিরিয়ানি। তাই আজ বিরিয়ানি রান্না হয়েছে। সঙ্গে চিলি চিকেন। আর আমাদের বাড়ির স্পেশাল মেনু আতপ চালের রুটি তো আছেই।” এ দিন সকালে উঠেই নামাজ পড়েছেন মৌসম। রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদের কথায়, “রাজনীতির কাজের জন্য তো সময়ই পাই না। ফি বছর এই দিনটিতে শ্বশুরবাড়ির সবাই রাজুরগ্রামে যান। গত বার লোকসভার অধিবেশন চলার জন্য আসতে পারিনি। এ বার চলে এলাম। সকলের সঙ্গে আলাপ হবে।” বিকেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেন সাংসদ। সারা দিন দিদিমা আনোয়ারা, নিতু কাজি, রিকি কাজিদের সঙ্গে গল্প করেই সময় কাটালেন মৌসম। নিতু কাজি, রিকি কাজিদের কথায়, “ভাবি খুব শান্ত। আমরা সব সময় ওঁর সঙ্গেই আছি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার নিয়ে মৌসম এ দিন বলেন, “মানুষের অনেক প্রত্যাশা এই সরকারকে ঘিরে। আশা করা যায়, সেই প্রত্যাশা পূরণ হবে।” তাঁর সংগঠন রাজ্য যুব কংগ্রেসকে আন্দোলনমুখী করার জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, “রাজ্য জুড়ে যুব কংগ্রেস কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে। এই সব কর্মীদের মধ্যে থেকেই ভবিষ্যতে কংগ্রেস নেতা উঠে আসবেন।”
এরই মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব পঙ্কজ চৌবে মেদিনীপুরের নয়াগ্রামে প্রশিক্ষণ চলাকালীন ঘটা গণ্ডগোলের খবর দেন। এই খবর পাওয়া মাত্রই ব্যস্ত হয়ে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “কয়েকটা জরুরি ফোন করতে হবে।”
উৎসবের দিনেও রাজনীতি সেই পিছু ছাড়ল না সাংসদের। |