|
|
|
|
ভাগ হবে বেশ কয়েকটি কমিটি, জানাল সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
সিপিএমের হিরাপুর-কুলটি জোনাল কমিটি ভেঙে দু’টি কমিটি গড়া হবে। বার্নপুর ও কুলটিতে দলের শাখা সম্মেলনের আগে এমনই জানালেন ওই জোনাল কমিটির সম্পাদক অশোক মুখোপাধ্যায়। লোকাল কমিটির সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া, এ বার লোকাল ও জোনাল সম্মেলনগুলিতে দলের মধ্যে শুদ্ধকরণের কাজও হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই দুই শহরের লোকাল কমিটির সম্মেলন। জোনাল সম্মেলন হবে ১১ ডিসেম্বর। গত বিধানসভা ভোটে ওই দুই শিল্প শহরে বামফ্রন্ট পরাজিত হয়েছে। বার্নপুর শহর আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার মধ্যে পড়ে। এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী তথা হিরাপুর-কুলটি জোনাল কমিটির সম্পাদক অশোকবাবু ২৫ হাজারের বেশি ভোটে হারেন। আসনটি তার আগে সিপিএমের দখলে ছিল। অন্য দিকে, কুলটি বিধানসভা কেন্দ্রে ফরোয়ার্ড ব্লকের মানিক আচার্যও তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তার আগের বারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ভোটে হারেন। সিপিএম সূত্রে জানা যায়, দলের শাখা সম্মেলনগুলির আগে জেলা কমিটি থেকে জোনাল ও লোকাল কমিটিগুলির কাছে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ এসেছে। পাশাপাশি জোনাল নেতারাও এই দুই শহরে দলকে আরও চাঙ্গা করতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অশোকবাবু জানান, হিরাপুর-কুলটি জোনাল কমিটি ভেঙে দু’টি জোনাল কমিটি গড়া হচ্ছে। একটি হিরাপুর, অন্যটি কুলটি। এর কারণ হিসেবে অশোকবাবু বলেন, “বিশাল এলাকা জুড়ে গঠিত এই জোনালের দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করা যাচ্ছিল না। সদস্যদের মধ্যেও সমন্বয়ের অভাব হচ্ছিল।” বাড়ানো হচ্ছে লোকাল কমিটির সংখ্যাও। কুলটিতে দু’টির পরিবর্তে তিনটি লোকাল কমিটি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পরিবর্তন আসছে নেতৃত্বেও। যেহেতু এই এলাকাগুলি শ্রমিক অধ্যুষিত, তাই দলের শ্রমিক সংগঠন থেকে অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রজন্মকে কমিটিগুলির সম্পাদকের পদে বসানো হচ্ছে। শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর ফলে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে বলে নেতৃত্ব মনে করছেন।
এ সবের পাশাপাশি বেশ কিছু সদস্যের পদ নবীকরণ করার ব্যাপারে কড়াকড়ি হবে বলেও জানানো হয়েছে। অশোকবাবু বলেন, “যে সব সদস্যেরা দলে সময় দিতে পারছেন না, তাঁদের পদ নবীকরণ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” কিছু কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের পরিচালন সমিতিতে থাকা দলের সদস্য এমনকি লোকাল কমিটির সদস্যদেরও এবার সরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কয়লা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের কাজকর্মের রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। অসঙ্গতি ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দল সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|