|
|
|
|
আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল |
মাছের টুকরো অমিল, বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
রোগীর খাবারের মান ও পরিমাণ নিয়ে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নানা সময়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়েছে। বৃহস্পতিবার একই অভিযোগ তুলে মহিলা (সাধারণ) ওয়ার্ডের রোগিণীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ভাতের পাতে তাঁরা মাছ পাননি বলে অভিযোগ। কর্তব্যরত সিস্টারের কাছে নালিশ জানিয়ে ফল না হওয়ায় জনা কুড়ি মহিলা ভাতের থালা হাতেই হাসপাতালের সুপারের ঘরে চলে যান। বাকি কয়েক জন ওয়ার্ডেই থালা হাতে দাঁড়িয়ে থেকে বিক্ষোভ দেখান। সুপার মাছের ব্যবস্থা করায় মিনিট পঁয়তাল্লিশ পরে বিক্ষোভ প্রশমিত হয়। সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। রোগীদের খাবার-সংক্রান্ত কোনও রকম অব্যবস্থা বরদাস্ত করা হবে না।”
রোগিণীদের কাছ থেকে সুপার এ দিন নানা ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা জানতে পারেন। মহিলা ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে তিনি শোনেন, তিন দিন ধরে ভাতের সঙ্গে মাছ পাচ্ছেন না রোগিণীরা।
সংশ্লিষ্ট সিস্টার সুপারকে জানান, ঠিকাদারের লোককে মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও ফল মেলেনি। সব ওয়ার্ডেই এই পরিস্থিতি কিনা, তা জানতে নির্মাল্যবাবু নির্দেশ দেন ডেপুটি সুপার অর্ক সিংহকে। খাবার নিয়ে রোগীদের বহু দিনের অভিযোগ, চাল খারাপ। ডাল পাতলা জলের মতো। মাছের সাইজ ছোট। সব্জিও দেওয়া হয় ঠিকাদারের মেজাজ-মর্জি মতো। দুপুরে যাঁদের কলা, ডিম, পাঁউরুটি, দুধ পাওয়ার কথা, তাঁরা পাচ্ছেন কেবল কলা-বিস্কুট।
রোগীর খাবার সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার অশোককুমার নন্দী কলকাতা থেকে টেলিফোনে বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। আমাকে কাজ থেকে সরাতেই কিছু লোক আমার কর্মীদের সঙ্গে চক্রান্ত করে কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করেছেন। তাঁরা খাদ্যের গুণমানও নষ্ট করতে পারেন।” অশোকবাবুর বক্তব্য, “দূরে থাকায় নিজে নিয়মিত নজরদারি করতে পারি না। বিশ্বস্ত লোকের উপরেই দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তাঁরা কেন সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”
অশোকবাবু আরও দাবি করেছেন, বেশ কিছু বহিরাগত এবং হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ প্রায়ই জোর করে রোগীদের খাবারে ভাগ বসাচ্ছেন। বিষয়টি শীঘ্রই হাসপাতাল সুপারকে জানানো হবে। |
|
|
|
|
|