|
|
|
|
দুর্ব্যবহারের অভিযোগ শিলিগুড়ি
হাসপাতালে,
চিকিৎসককে দুষলেন গঙ্গোত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
এ বার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুললেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে শিলিগুড়ি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। মেয়র জানান, গত ২৮ অক্টোবর কোচবিহারের এক যুবক স্বপন মোদক রাজস্থান থেকে ফিরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়। হাসাপতালের চিকিৎসক শীর্ষেন্দু পাল তাঁর চিকিৎসা করছিলেন। দু’দিন চিকিৎসার পর ৩০ অক্টোবর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেন চিকিৎসক। অথচ ওই দিনও জ্বরে কাতরাচ্ছিল ওই যুবক। বিষয়টি স্বপনের দিদি অনুর কাছ থেকে জানতে পেরে মোবাইল ফোনে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন মেয়র। কিন্তু চিকিৎসক কোনওরকম কথা বলতে রাজি হননি। ওই দিন সন্ধ্যায় মেয়র হাসাপাতালে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের খোঁজ করেন। তাঁকে না পেয়ে অপর এক চিকিৎসকের মোবাইল ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে হাসপাতালে আসার অনুরোধ করেন। তার পরেও তিনি হাসপাতালে যাননি বলে অভিযোগ। ১ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এক চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তাঁর ম্যালেরিয়া ধরা পড়ায় তাঁকে ফের ২ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মেয়র বলেন, “আমি মেয়র এবং হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির সদস্য। তার পরেও যেখানে গুরুত্ব পাচ্ছি না সেখানে সাধারণ মানুষের কী চিকিৎসা হতে পারে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যাণ্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্ত বিষয় জানাব। এর পরে আর রোগী কল্যাণ সমিতিতে থাকব কী না তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে।” শিলিগুড়ি হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত ভকত বলেন, “গোটা বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে, বুধবারের একদিনের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এদিন শিলিগুড়ি হাসপাতালের সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল ডিওয়াইএফআইয়ের শিলিগুড়ি জোনাল কমিটি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ডিওয়াইএফআই সদস্যরা ওই সদ্যোজাতের পরিবারের শিশুদের নিয়ে শিলিগুড়ি হাসপাতালে যান ডিওয়াইএফআই সদস্যরা। প্রায় ২ ঘন্টা সুপারকে ঘেরাও করে রাখা হয়। সংগঠনের তরফে ওই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের কমিটি গঠন করার দাবি করা হয় এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার প্রসব বেদনা নিয়ে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি হন মিলনপল্লির বাসিন্দা মনি সরকার। মঙ্গলবার তিনি একটি সদ্যোজাতের জন্ম দেন। বুধবার সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত শিশুর শরীর খারাপ হতে দেখে কর্তব্যরত শিশু চিকিৎসককে জানান তাঁরা। কিন্তু সারা রাতে একবারও চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে যাননি বলে অভিযোগ। ডিওয়াইএফআইয়ের পক্ষে সৌরাশিষ রায় ও জ্যৌতি দে সরকার বলেন, “সাতনিদের মধ্যে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আন্দোলনে নামা হবে।” হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় আজ, শিলিগুড়িতে মিছিল করবে ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। শিলিগুড়ি হাসপাতালের সুপার বলেন, “মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের শোকজের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চিকিৎসকদের বক্তব্য জানার পর পরবর্তী পদক্ষেপগ্রহণ করা হবে।” |
|
|
|
|
|