|
|
|
|
শো-কজের জবাবের পরই কথা: বিরসা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
‘শো-কজ’-এর জবাব না-পাওয়া পর্যন্ত জন বার্লা-সহ পাঁচ নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না বলে জানিয়ে দিলেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকে। বৃহস্পতিবার পরিষদের ওই পাঁচ নেতা কলকাতায় পৌঁছেছেন। তাঁরা রাজ্য সভাপতির কাছে আলোচনায় বসার জন্য সময় চেয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটেই রাজ্য সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, “ওঁদের শো-কজের নোটিস দিয়েছে কার্যনির্বাহী কমিটি। এখন ওই কমিটির কাছে জন বার্লাদের জবাব দিতে হবে। কেন ও কার কথায় তাঁরা বিমল গুরুঙ্গদের সঙ্গে চুক্তি করলেন সেই ব্যাখ্যা দিতে হবে। তার আগে আমি ওঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসব না।”
রাজ্য সভাপতি কড়া মনোভাব দেখানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তরাই-ডুয়ার্স সমন্বয় আঞ্চলিক কমিটির সদ্য অপসারিত সভাপতি জন বার্লা। তাঁর কথায়, “আমাকে আঞ্চলিক সভাপতির পদ দিয়েছেন তরাই-ডুয়ার্সের মানুষ। উনি কে? আলোচনার জন্য সময় চেয়েছি। অথচ এখনও কেন ডাকছেন না বুঝতে পারছি না।” তিনি জানান, গুরুঙ্গের সঙ্গে যে বৈঠক বা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা তরাই-ডুয়ার্সের নানা স্তরের কমিটির সিদ্ধান্ত। সেটা কেন তারা বুঝতে পারছেন না?
বার্লা বলেন, “আমরা কেন গুরুঙ্গের সঙ্গে বৈঠক করেছি, পরে আমরা কোন পথে চলব তা নিয়ে ৬ নভেম্বর মালবাজারে সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।” পরিষদের রাজ্য সম্পাদক তেজকুমার টোপ্পো বলেন, “রাজ্য সভাপতির আমাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত।”
বস্তুত, রবিবার সেবকের কাছে মংপংয়ে মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের চুক্তি সইয়ের পরেই বিতর্কের মুখে পড়েন জন বার্লা, তেজকুমার টোপ্পো-সহ আদিবাসী বিকাশ পরিষদের পাঁচ জন নেতা। তাঁরা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) বদলে আগামী দিনে গোর্খাল্যান্ড-আদিবাসী টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএটিএ) গঠনের ব্যাপারে সহমত হয়ে গুরুঙ্গের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তা নিয়ে পরিষদের মধ্যে ও তরাই-ডুয়ার্সের ২১টি সংগঠনে ক্ষোভ দানা বাঁধে। সিপিএম সহ বাম দলগুলিও জিএটিএ-এর প্রস্তাবের বিরোধিতায় করে। মোর্চা নেতাদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় পাহাড়েও। |
|
|
|
|
|