হারানো পঞ্চায়েত ফিরে পেল সিপিএম। আস্থাভোটে জিতে পুঞ্চা ব্লকের পিঁড়রা পঞ্চায়েতটি বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কাছ থেকে সিপিএম ছিনিয়ে নিল। তৃণমূল ছেড়ে সদ্য সিপিএমে যোগ দেওয়া সুমিত্রা মাহাতো তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দেন। আস্থাভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পুঞ্চার যুগ্ম বিডিও অনমিত্র সোম বলেন, “অনাস্থার পক্ষে চারটি ও বিপক্ষে তিনটি ভোট পড়ে। ফলে অনাস্থা গৃহীত হয়েছে।”
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতের আটটি আসনের মধ্যে চারটি আসন পেয়েছিল সিপিএম, তিনটি তৃণমূল ও একটি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। প্রধান পদটি মহিলা ও তপশিলি উপজাতি সংরক্ষিত হওয়ায় সিপিএম প্রধান পদটি পেয়েছিল। কিন্তু, তাঁদের দলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। জেএমএমকে সঙ্গে নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দেয় তৃণমূল। সেই বছরের জুন মাসে অনাস্থা ভোট হয়। সিপিএমের বিপক্ষে ভোটের রায় যায়। পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল নেয় তৃণমূল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তা দীর্ঘায়িত হল না।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সুমিত্রা মাহাতো সম্প্রতি তাঁর দলের বিরুদ্ধে স্বজন পোষন ও দুর্নীতি করার অভিযোগ এনে প্রচারপত্র ছড়িয়ে দলত্যাগ করে সিপিএমে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সুমিত্রাদেবীকে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় দেখা না গেলেও এ দিন তিনি সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যেরা-সহ সুমিত্রাদেবী এ দিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থার পক্ষে মত দেন। তৃণমূল এবং জেএমএম সদস্যেরা অনাস্থার বিপক্ষে রায় দিয়েও নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন নি।
এ দিন সুমিত্রাদেবী বলেন, “তৃণমূল নেতাদের স্বৈরাতান্ত্রিক মনোভাব এবং এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কাজ করতে চেয়েও তৃণমূলের নেতাদের বাধা পেয়েছি। তাই সিপিএমে যোগ দিয়েছি।” সিপিএমের পিঁড়রা লোকাল কমিটির সম্পাদক বাউরিদাস মাহাতো বলেন, “আবার আমরা পিঁড়রা পঞ্চায়েতের ক্ষমতা পেয়েছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এলাকায় উন্নয়নের কাজ করতে চাই।” তবে তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, “সুমিত্রাদেবী পঞ্চায়েতের টানা তিনটি বৈঠকে হাজির ছিলেন না। তাঁর সদস্য পদ থাকা উচিত নয়। এ ব্যাপারে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।” |