ট্রেনযাত্রীদের মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে লুঠপাট করার ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। ফের ট্রেন থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁকুড়া স্টেশনে নামানো হল দুই যুবককে। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। কেশপুরের ওই দু’জনকে পরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বাঁকুড়ার স্টেশন ম্যানেজার সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্র বলেন, “ওই দুই যাত্রী ডাউন ১২৮১৬ নয়াদিল্লি-পুরী ‘নীলাচল এক্সপ্রেসে’ দিল্লি থেকে খড়গপুরে যাচ্ছিলেন। তাঁদের দীর্ঘক্ষণ অচেতন অবস্থায় দেখে আরপিএফ কর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁদের বাঁকুড়া স্টেশনে নামিয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।” আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার করা ওই দুই যাত্রীর নাম আমিরউল আলি ও শেখ আব্বাস মল্লিক। |
আমিরউলের বাড়ি কেশপুর থানার সাতগেড়ে গ্রামে ও আব্বাসের বাড়ি ওই থানার মহিষাগেড়া গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আমিরউলের চেতনা ফিরলেও আব্বাস বেহুঁশ রয়েছে। চিকিৎসকদের প্রাথমিকভাবে অনুমান মাদক মেশানো খাবার খাওয়ানো হয়েছিল। আমিরউলের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁরা দিল্লিতে জরির কাজ করেন। ছুটিতে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রেনে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়। তাঁর কথায়, “সেই ব্যক্তি পকেট থেকে চানা মশলা বের করে আমাদের খেতে দেন। তা খাওয়ার খানিক পরে আমরা জ্ঞান হারাই।” তাঁর অভিযোগ, পরে জ্ঞান ফেরার পরে দেখেন তাঁদের সঙ্গে থাকা বেশ কয়েক হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে। দু’জনের মোবাইল ফোনগুলিও নেই। রেল পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে থাকা দু’টি স্যুটকেস ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “মাদক দ্রব্য মেশানো খাবার খেয়ে ওই দুই যাত্রী বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।” উল্লেখ্য, নীলাচল এক্সপ্রেসে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে লুঠপাটের ঘটনা নতুন নয়। কয়েক মাস আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে বাঁকুড়ার স্টেশন ম্যানেজার বলেন, “আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে যাত্রীদের অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে খাবার খেতে নিষেধ করছি। যাত্রীরা সচেতন না হলে এই ধরনের লুঠপাট বন্ধ করা বস্তুত অসম্ভব।” |