মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পুজোর নিয়ম-নিষ্ঠা অনুসরণ করেই জগদ্বাত্রী পুজো হয় বীরনগরের উত্তরপাড়ায়। অগ্রদূত সঙ্ঘের উদ্যোগে ৪৯ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে।
প্রতিবারের মতো এ বারও প্রতিষ্ঠিত মন্দিরেই তৈরি হয়েছে সাবেকি প্রতিমা। প্রতিমার ডাকের সাজও এই পুজোর বৈশিষ্ট। আজ, নবমীর দিন ত্রৈকালিক পুজো হবে দেবীর। তিন বার আলাদা আলাদা ভাবে ভাত, পোলাও এবং খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হবে দেবীকে। রবিবার বিসর্জন। দীর্ঘ দিনের রীতি অনুসারে ৩১ জন বেয়ারা কাঁধে করে প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাবেন। এ দিন থাকছে শোভাযাত্রাও।
অগ্রদূত ক্লাবের সম্পাদক শ্যামল ঘোষাল বলেন, “রাজা কৃষ্ণচন্দ্র যে ভাবে পুজো করতে, আমরাও সেই নিয়মেই পুজো করি। এ বার থেকে আমরা ঘট বিসর্জনও শুরু করছি। অনেক দিনের পুজো বলে অনেকেই এই দেবীকে আদি মা বলে ডাকেন। আমরা পুজোর জন্য বাইরে কোথাও চাঁদা তুলতে যাই না। অনেকে স্বেচ্ছায় এসে চাঁদা দিয়ে যান। অনেকে প্রতিমাকে গয়নাও দিয়েছেন।” তবে স্থানীয় সব পুজোর বিসর্জনই হবে মঙ্গলবার। সে দিনই শহর জুড়ে বেরোবে শোভাযাত্রা। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পুজোর নিয়ম মেনেই এই পুজোয় প্রতিমার বিসর্জন হবে রবিবারেই। শহরের শোভাযাত্রায় সামিল হতে মঙ্গলবার অগ্রদূত ক্লাবের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ শোভাযাত্রারও। বীরনগরের পুরপ্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখানে কম করেও ২০টা বড় জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। তার মধ্যে কয়েকটা খুবই ভাল। আগামী মঙ্গলবার শোভাযাত্রা বের করা হবে। বছর পাঁচেক ধরে জগদ্ধাত্রী পুজোর এই শোভাযাত্রা দেখতে প্রচুর মানুষ আসছেন। অগ্রদূতের পুজো ছাড়াও স্থানীয় লাইব্রেরী পাড়া ইয়ং স্টার ক্লাবের পুজো এ বার ৪০ বছরে পড়ল। চুড়ি দিয়ে তৈরি হয়েছে প্রতিমা ও মণ্ডপ। বসেছে মেলাও। বিসর্জনের দিন থাকছে বিশাল শোভাযাত্রা। এ ছাড়াও জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। রজতজয়ন্তী বর্ষে ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাবের ‘থিম’ ভগ্নপ্রায় মন্দির। স্থানীয় বাসিন্দা অম্লান ভট্টাচার্য বলেন, “শোভাযাত্রা দেখতে বহু মানুষ আসেন। প্রায় চার কিলোমিটার জুড়ে শোভাযাত্রা হয়।” |