|
|
|
|
অভিযুক্ত তৃণমূল |
নতুন স্কুলে এসেই প্রহৃত প্রধানশিক্ষক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বদলির পরে নতুন স্কুলে যোগ দিতে আসা এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের মধ্যে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। প্রহৃত সমরেশ সামন্ত আবার তৃণমূল শিক্ষাসেলের সদস্য। তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য ও এক যুব নেতার নেতৃত্বে এই মারধরের ঘটনা ঘটায় তাই বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার বল্লুক গ্রামে। তৃণমূল শিক্ষা সেলের তমলুক উত্তরচক্রের সম্পাদক জয়দেব বর্মন বলেন, “বল্লুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকার দায়িত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছিল গ্রামবাসীদের একাংশ। কিন্তু তা হয়নি বলে যে ভাবে সমরেশবাবুর উপরে হামলা চালানো হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মারধরে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা।” তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক পঞ্চায়েতের প্রসাদচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশবাবুকে সম্প্রতি স্থানীয় বল্লুক বেসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করে সংসদ। সমরেশবাবু গত মঙ্গলবার বল্লুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দিতে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তাঁকে বাধা দেন বলে অভিযোগ। তখন সমরেশবাবু স্থানীয় তমলুক উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে গিয়ে কাজের দায়িত্বভার নেন। বুধবার স্কুলে কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়ে অফিসঘরে তালা ঝুলতে দেখেন সমরেশবাবু। এরপর কাছেই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে যান তিনি। অভিযোগ, সেই সময় বল্লুক গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য তথা গ্রাম শিক্ষা কমিটির সভাপতি দিব্যেন্দু মাইতি ও ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সম্পাদক অপূর্ব জানার নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন লোক বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে চড়াও হয়ে সমরেশবাবুকে কিল, চড়, ঘুষি মারে। টানাটানির সময় জামা ছিঁড়ে দিয়ে সমরেশবাবুর। তাঁর কথায়, “বেলা ১১টা নাগাদ পরিদর্শক অফিসে বসে থাকার সময় দিব্যেন্দু ও অপূর্ববাবুর নেতৃত্বে জনা পঞ্চাশেক লোক এসে আমায় হুমকি দেয় ও মারধর করে। উদ্বেগে রয়েছি।” এ দিকে, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য দিব্যেন্দুবাবুর বক্তব্য, “ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে প্রধানশিক্ষিকার দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন গ্রামবাসী। আমি সেই দাবি সংসদে জানিয়েছিলাম। এ দিন গ্রামবাসীরাই তাঁদের দাবি জানাতে পরিদর্শকের অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে আমি ও অপূর্ববাবু থাকলেও উত্তেজনার মুহূর্তে কারা সমরেশবাবুকে হেনস্থা করছে জানি না।” নিজের দফতরে প্রাথমিক শিক্ষককে নিগ্রহের ঘটনা মেনে নিয়ে তমলুক উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রতনচন্দ্র দাস বলেন, “একদল গ্রামবাসী ওই শিক্ষককে কাজে যোগ দিতে বাধা দেয়। ঘটনাটি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|