পাঁচ গোল খেয়ে কুঁকড়ে থাকা নয়। বরং পরের ম্যাচ থেকেই জয়ের রাস্তা ধরতে চাইছে গোটা টিম। মারগাও থেকে পুণে আসার সময় কয়েক জন ফুটবলারের সঙ্গে আড্ডা মারার সময়েই বোঝা গেল ব্যাপারটা। সে কথা স্বীকার করে নিলেন টিডি সুব্রত ভট্টাচার্যও।
যিনি ভাবছেন টিমের ভবিষ্যতের কথা। সেই মতো এশীয় কোটায় এক জন ইরানি ডিফেন্ডার আনার ব্যাপারে কথাবার্তাও শুরু করেছেন। এক অস্ট্রেলীয় ডিফেন্ডারও আসছেন ট্রায়ালে।
টিডি-সহ পুরো দলের চোখের সামনে লক্ষ্য মুম্বই এফ সিকে হারানো। কিন্তু মাথায় রয়েছে চার্চিল, ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় দল দুটি। মুম্বই ম্যাচের পরেই ওই দু’টি ম্যাচ।
লম্বা লিগের সবে শুরু। হয়েছে মাত্র তিনটি ম্যাচ। এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ঠিক যে সুর শোনা গিয়েছিল টিডি সুব্রত ভট্টাচার্যের মুখে, সেই কথাই বলছিলেন ফুটবলাররাও। আর ম্যাচের পর টিম মিটিং নয়, সব ফুটবলারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন টিডি সুব্রত। কী বলেছেন? “প্রত্যেকের যা যা ভুল সেগুলোই বুঝিয়ে দিয়েছি।”
পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন খালিদ জামিলের মুম্বই টিমকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট ঘরে তোলার। যারা আগের দিনই টোলগেদের বিরুদ্ধে ১-০ এগিয়েও ৪-১ হেরে গিয়েছে। আনোয়ারের কুঁচকির চোট না সারার সম্ভাবনাই বেশি। সেই জায়গায় রাকেশ মাসি না সৌরভ চক্রবর্তী, সেই সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন দু’দিনের অনুশীলন দেখে। বিদেশি ছাড়াই নব্বই মিনিট খেলার পরের ম্যাচে সুব্রতর দলের মাঝমাঠে ফের ঢুকতে চলেছেন হাদসন লিমা। আবার সুযোগ পেতে পারেন মনীশ মৈথানিও। সামনে সুনীল-অসীম থাকছেন। তবে মাঝমাঠেই বেশ কিছু বদল হতে পারে।
ডেম্পো ম্যাচ খেলে ফিরে টিভিতে সুব্রত-সহ মোহনবাগানের বেশ কয়েক জন ফুটবলারই দেখেছেন ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে মুম্বই এফ সির খেলা। সুব্রতর কথায়, “বড় চেহারার বিদেশি আছে এক-দু’জন। তবে তিন পয়েন্ট ছাড়া কিছু ভাবার জায়গা নেই।” সামনের রবিবারের ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে কলকাতার বিমানে উঠলে পরের সপ্তাহে বেটো-হীন চার্চিলের বিরুদ্ধে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী থাকবে মোহনবাগান।
ডেম্পো ম্যাচ নিয়ে সরাসরি মুখ খুলতে চাইছেন না কোনও ফুটবলার। তবে অভিজ্ঞ এক ডিফেন্ডার বলছিলেন, “আমাদের কিছু ভুল তো ছিলই। আমাদের সেগুলো ঠিক করতে হবে। সামনেই দুটো বড় ম্যাচ।” আবার এক তরুণ ফুটবলারের বক্তব্য, “এই ম্যাচে পাঁচ গোল খেলাম ঠিকই। কিন্তু এ রকম কখনও কখনও হয়ে যায়। যখন কোনও কিছুই ঠিকঠাক হয় না।”
শুক্রবার বিকালে অনুশীলন শুরু হবে। তবে ইতিবাচক দিক এটাই যে সবুজ-মেরুনের মনোবল এখনও অটুট আছে। কাঁধ গুলো এখনও ঝুলে পড়েনি। |