|
|
|
|
শালবনির ইস্পাত প্রকল্পের জন্য জল |
জেলা পরিষদের সাহায্য চাইলেন জিন্দলরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বাড়তি জমি সংক্রান্ত জট কাটার পরে রাজ্যের নতুন সরকারের চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়েছে শালবনিতে জিন্দলদের প্রস্তাবিত ইস্পাত-প্রকল্প। তার পরেই নতুন উদ্যমে ফের প্রকল্পের কাজ নিয়ে এগোতে শুরু করেছে ওই শিল্পগোষ্ঠী। প্রকল্পে জলের জোগান সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে বৃহস্পতিবারই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করলেন জিন্দলগোষ্ঠীর দুই প্রতিনিধি। সভাধিপতি তাঁদের সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রস্তাবিত ইস্পাত-প্রকল্পে প্রচুর জলের প্রয়োজন। রূপনারায়ণ নদী থেকে পাইপলাইনে কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, ডেবরা, কেশপুর হয়ে শালবনিতে জল নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে জিন্দলদের। দুই মেদিনীপুরের একাধিক ব্লক ও বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে দিয়েই যাবে পাইপলাইন। সে জন্য গ্রামে মাটি খোঁড়াখুঁড়িরও প্রয়োজন হবে। ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের তাই সহযোগিতা প্রয়োজন। সে কারণেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সভাধিপতির সঙ্গে তাঁরা দেখা করলেন বলে জানান শিল্পগোষ্ঠীর দুই প্রতিনিধি। সভাধিপতির কথায় আশ্বস্ত হয়েই তাঁরা ফিরেছেন। পরে অন্তরাদেবী বলেন, “আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছিএত বড় শিল্প গড়ার কাজে সব রকম ভাবেই সহযোগিতা করব। আজও ওই প্রতিনিধিদের একই কথা জানিয়েছি।” ‘পিছিয়ে পড়া’ পশ্চিম মেদিনীপুর শিল্পক্ষেত্রেও পিছিয়ে। চাষাবাদের ক্ষেত্রেও সেচের সীমিত সুযোগ একটা বড় সমস্যা। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ বৃষ্টি-নির্ভর। বর্ষাকালেই যা চাষাবাদ হয়। তাই অনুন্নয়নের সমস্যা থেকেই গিয়েছে। যে ‘অনুন্নয়ন’কে হাতিয়ার করেই আবার জেলার জঙ্গলমহলে প্রভাব বাড়িয়েছে মাওবাদীরা। রাজ্যের পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার তাদের শিল্পায়ন-ভাবনায় এই জেলাকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পর গত কয়েক বছরে অবশ্য খড়্গপুরকে ঘিরে বেশ কিছু কারখানা তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে। তবে জেলায় সর্ববৃহৎ শিল্প-প্রস্তাব অবশ্যই শালবনিতে জিন্দলদের ইস্পাত-প্রকল্পই। ব্লকের কাশীজোড়া, বাঁকিবাঁধ ও তার আশপাশ এলাকার প্রায় সাড়ে চার হাজার একর জমিতে প্রকল্পটি গড়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই প্রকল্প-এলাকায় প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মোট ৩৮ কিলোমিটার এলাকা ঘেরা হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের থাকার জন্য শুরু হয়েছে আবাসন তৈরির কাজও। প্রাথমিক পর্যায়ে বছরে ৩ মিলিয়ন টন ইস্পাত তৈরির উপযুক্ত কারখানা ও ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ক্যাপটিভ পাওয়ার-প্ল্যান্ট তৈরি হওয়ার কথা। |
|
|
|
|
|