মেলা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নানা আয়োজন |
জগদ্ধাত্রী আরাধনায় মেতেছে শহর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
উৎসব মানেই নানা আয়োজন। সবাই মিলে একাত্ম হওয়া। দুর্গাপুজো, দীপাবলির পরে এ বার জগদ্ধাত্রী পুজোতেও সেই ছবি। মেদিনীপুরের নানা জায়গায় রয়েছে নানা আয়োজন। কোথাও মেলা বসেছে। কোথাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কোথাও আবার ‘বসে আঁকো’র আসর। |
|
মেদিনীপুরে মানিকপুর ‘টাইটানিক ক্লাবে’র প্রতিমা। ছবি তুলেছেন রামপ্রসাদ সাউ। |
মেদিনীপুর শহর ঘেঁষা খয়রুল্লাচক সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর এ বার একাদশতম বর্ষ। উদ্যোক্তা ‘নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব’। পুজো উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে হয়ে গেল ‘বসে আঁকো’ প্রতিযোগিতা। এলাকার প্রায় একশো জন ছেলেমেয়ে প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে সফলদের পুরস্কৃত করা হয়। পুজো-উদ্যোক্তা অরিন্দম দাসের কথায়, “পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকায় এক অন্য পরিবেশ তৈরি হয়। পাড়ার সকলে সহযোগিতাও করেন।” জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ অলিগঞ্জেও। মণ্ডপ ও আশপাশের এলাকা রঙিন আলোয় সেজে উঠেছে। বৃহস্পতিবার দিনভর এখানে ছিল শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। রাস্তার এক পাশে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। পুজোর এ বার ত্রয়োদশতম বর্ষ। উদ্যোক্তা দীপক সাউয়ের কথায়, “এই পুজো আমাদের সকলের। পাড়ার সকলে সহযোগিতা করেন। উৎসাহ দেন।” পুজো উপলক্ষে এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শহরের কোতওয়ালি বাজার, বটতলাচক, রবীন্দ্রনগরেও জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে রীতিমতো সাজো সাজো রব। আলোর রোশনাইয়ে ভাসছে পুরো এলাকা। মির্জাবাজারের মিলনশ্রী ক্লাবও এ বার পুজোর আয়োজন করেছে। |
|
শহরে আলোর সাজ। ছবি তুলেছেন সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
পুজো উপলক্ষে মেলা বসেছে মেদিনীপুর শহরের সিপাইবাজার গির্জাপাড়ায়। খ্রিস্টান-হিন্দু-মহামেডান অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই পুজোর এ বার চতুর্দশতম বর্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুজো ও মেলার উদ্বোধন হয়। প্রথম দিনই মেলা প্রাঙ্গণে উৎসাহী মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। এখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর সঙ্গে জুড়ে থাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা। প্রদীপ রায়, জয়ন্ত মাইতি, সুদীপ্ত মুদি থেকে শেখ আব্দুল সাজ্জাদ, আব্দুল ওহিদরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত থাকেন। শহরের কিছু দূরে নয়াগ্রামেও জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে মেলা বসেছে। এখানে গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী আরাধনা। প্রতি সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে ঝুমুর, বাউল গান পরিবেশিত হবে। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা টোটন কর বলেন, “এখন থেকেই মেলায় ভীড় হচ্ছে। কেনাবেচা চলছে। এই ক’টা দিন এলাকা জুড়েই উৎসবের আমেজ থাকে।” |
|