|
|
|
|
চাকরির দাবিতে টেলকন কারখানায় বিক্ষোভ চাষিদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চাকরির দাবিতে খড়্গপুর লোকাল থানার রূপনারায়ণপুরে টেলকনের কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় কৃষকেরা। বিক্ষোভের উপর পুলিশ লাঠি চালায় বলেও অভিযোগ। তাতে অন্তত ৩ জন চাষি জখম হয়েছেন। তার পরই গ্রামের আরও বহু মানুষ বিক্ষোভে সামিল হন। মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে আশ্বাস মেলায় পরে বিক্ষোভ তুলে নেন গ্রামবাসীরা। |
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
স্থানীয় কৃষকদের দাবি, জমি নেওয়ার সময় জমিহারাদের পরিবার-পিছু এক জনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এখন তা মানছেন না। এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনের বিক্ষোভে লাঠি চালানো হয়নি। কারখানার দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখানোয় লাঠি উঁচিয়ে সবাইকে শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী বলেন, “কারখানার দরজা বন্ধ করে কেউ আন্দোলন করতে পারেন না। কারও দাবি থাকতেই পারে। তা গুরুত্ব দিয়েই আলোচনা করা হবে। চাষিদের বক্তব্যও আমরা শুনব বলে জানিয়েছি।” আগামী মঙ্গলবার মহকুমাশাসকের সঙ্গে চাষিদের আলোচনায় বসার দিন ঠিক হয়েছে। রূপনারায়ণপুরে গড়ে উঠছে শিল্পতালুক। তার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। অধিগৃহীত জমি বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হয়। টেলকনও সেই জমি নেয়। রূপনারায়ণপুর, বড়াডিহা এলাকার মানুষই বেশিরভাগ জমি দিয়েছিলেন। স্থানীয় চাষি রাজু ঘোষ বলেন, “আমরা কারখানার জন্য চার বিঘে জমি দিয়েছি। তখন জমি দিলে জমির দামের পাশাপাশি পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এখন দেখছি, বাইরের লোকদের কাজে নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু আমাদের নেওয়া হচ্ছে না।” জমিদাতা নগেন গোয়ালা, সৌরভ বসুদের কথায়, “দু’বছর আগেই জমি দিয়েছিলাম। অনেক দিন আগেই কারখানা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু আমাদের চাকরি মেলেনি। চাকরির দাবি জানালেই, দেখছি-দেখব করে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগে আমাদের জানানো হয়েছিল, চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। এ দিন আবেদনই জমা দিতে এসেছিলাম। আবেদনপত্র জমা নিতে রাজি হলেও তার প্রমাণস্বরূপ কোনও নথি দিতে রাজি হননি কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। তখনই পুলিশ লাঠি চালায়।” |
|
|
|
|
|