ন্যানোর হাত ধরে গুজরাতে ভারী হচ্ছে গাড়ি শিল্পের উপস্থিতি। ফোর্ড ও মারুতির পর এ বার পুজোর পালা।
ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফরাসি গাড়ি সংস্থা পুজো সিট্রোন-এর হাত ধরে ওই রাজ্যে ঢুকতে চলেছে প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকার (৬৫ কোটি ইউরো) লগ্নি। আমদাবাদের থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সানন্দে টাটাদের কারখানার গা ঘেঁষেই তৈরি হচ্ছে তাদের কারখানা। প্রথম পর্যায়ে যেটির গাড়ি তৈরির ক্ষমতা ১ লক্ষ ৭০ হাজার। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রায় তার দ্বিগুণ, দাবি সংস্থা কর্তৃপক্ষের। প্রসঙ্গত, মারুতি-সুজুকি ইন্ডিয়া-র পরিচালন পর্ষদ সম্প্রতি তাদের তৃতীয় কারখানা গড়ার জন্য গুজরাতে ১৫০০ একর পর্যন্ত জমি কেনার ব্যাপারে সায় দিয়েছে। লগ্নি ১৮ হাজার কোটি টাকার মতো। গুজরাতের মেহসানা জেলায় নতুন কারখানা গড়তে চায় সংস্থা।
এ দিকে শুধু গাড়ি নয়, সানন্দের কারখানায় বছরে ১ লক্ষটি ইঞ্জিনও তৈরি করবে পুজো। অন্য দিকে, শিল্পের জন্য দক্ষ কর্মী তৈরি করতে সানন্দ গাড়ি শিল্পাঞ্চলে গুজরাত সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গড়ছে ‘অটোমোটিভ স্কিল্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট’। সংস্থার আশা, ২০১৩-তেই চালু হয়ে যাবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। প্রশিক্ষণ পাবেন প্রায় ৫,০০০ জন।
বৃহস্পতিবার ছিল পুজো-র কারখানাটির শিলান্যাস অনুষ্ঠান। এখানে এসে পুজো-র ডিরেক্টর জেনারেল ভিনসেন্ট রামবড বলেন, “ভারতে দ্রুত বাড়তে থাকা সেডান ও দামি ছোট গাড়ির বাজারই তাঁদের টেনে এনেছে এখানে। ফলে উৎপাদন শুরু হবে এই দুই ধরনের গাড়ি দিয়েই।” তিনি জানান, পুজোর প্রথম গাড়ি, ৫০৮ মডেলের দামি সেডান রাস্তায় নামবে ২০১৪ নাগাদ। তবে তার আগে নয়াদিল্লিতে আগামী জানুয়ারির ‘অটো এক্সপো’-র মঞ্চেই তার সঙ্গে একপ্রস্ত পরিচয়ের সুযোগ ঘটবে দেশবাসীর। বাজারের মুখ দেখার আগে আপাতত দেশ জুড়ে নিজেদের ব্র্যান্ড তুলে ধরায় মন দেবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ইউরোপের বাইরে নিজেদের ব্যবসা ছড়িয়ে দেওয়ার পথে হাঁটছে পুজো। সেখানে ভারতের পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের মতো দেশও রয়েছে তাদের তালিকায়। সব মিলিয়ে এই আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিস্তারে সংস্থা লগ্নি করেছে ৩৭০ কোটি ইউরো। |