|
|
|
|
|
|
দক্ষিণে সিনেমার আইটেম রসম!
ফিল্ম কেরিয়ারের ফাঁকে ফাঁকে টিফিন কেরিয়ার ফাঁকা থাকেনি। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
স্কুলজীবনের রবিবার ছিল চুটিয়ে ফুচকা খাবার দিন। অবশ্য বন্ধুবান্ধব বলতে আমাদের বিল্ডিং কমপ্লেক্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কখনও বন্ধুদের পাওয়া না গেলে বাড়িতেই আনাতাম।
বাবা-মা, আমি তিন জনের নির্ঝঞ্ঝাট সংসারে বাবা আমি দু’জনেই মাছের খুব ভক্ত। মা পড়ত মুশকিলে। মটন খেতে ভালবাসেন মা। মা-র হাতের রান্না ছিল দুর্দান্ত। আর আগ্রহও ছিল। রবিবার শ্যামবাজারে মামাবাড়ি যাওয়ার মুখ্য আকর্ষণই ছিল দাদুর হাতের রান্না। আমার দাদু হোটেলের বড় শেফকেও হার মানাতেন। দিদাও কম যেতেন না।
কলেজজীবনে রবিবার মানেই চাইনিজ খাবার দিন। এর পর শুরু হয়ে গেল স্টারডম। কিছু দিনের মধ্যেই কলকাতা থেকে চলে গেলাম দক্ষিণ ভারতে। ওখানে লাঞ্চ আসত বিশাল সব টিফিন কেরিয়ারে করে। খাওয়ার মেনুটাও বিশাল। কত রকম ডাল, সব্জি, টক। রেলিশ করে খাওয়াদাওয়া করতাম। করতেই হত, আমার এই পাতলা শরীরে ওখানে নায়িকা হলে মানাবে কেন? একটু স্বাস্থ্যবান হতেই হয়েছিল। রবিবারের স্পেশাল আইটেম ছিল ‘রসম’। কখনও এটা মিস করতাম না। হায়দরাবাদ, চেন্নাইতে থাকার সময় আমার প্রিয় ব্রেকফাস্টের মধ্যে ছিল ‘ইডলি’। আর কোথাও ‘ইডলি’ বা ‘দোসা’র সেই স্বাদ পাইনি। গরমে আমের একটা আইটেম হত। কাঁচা আম, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে অর্ধেক ভাত খেয়ে ফেলতাম। এখন সুযোগ হলে বাড়িতে বানিয়ে খাই। টিপিকাল কারিপাতা দেওয়া রান্নাও দারুণ লাগত। বিশেষ করে ‘নেল্লোর ফিশ কারি’।
বাড়ির সকলের সঙ্গে সময় কাটানো আমার বরাবরের অভ্যাস। এমনিতে আমি সিম্পল লাইফ লিড করি, তাই আমার স্টারডমের কোনও প্রভাব বাড়িতে পড়ে না। রান্না করে সকলকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করি। কেক, পুডিং বা কফি ক্যারামেলের মতো ডিজার্টও বানাই।
২০০৫ সালে বিয়ে। শ্বশুর-শাশুড়ি দু’জনেই দারুণ রান্না করেন। আমি বরাবরই ভোজনরসিক। রবিবার এক সঙ্গে খাওয়াদাওয়া, পারিবারিক এই আবহটা খুব দরকার। আজকাল তো সকলেই একা থাকে। এমনিতে আমার ছেলের জন্য প্রত্যেক দিন সকালেই নিত্য নতুন টিফিন বানিয়ে দিতে হয়। ওর আব্দার মেটাতে ‘ফুড ফুড’ বলে একটা চ্যানেল খুলে বসি। দারুণ ইন্টারেস্টিং হেলদি অ্যান্ড টেস্টি রেসিপি কালেক্ট করি। শখ থেকেই আমার এ অভ্যাস। রান্নার লোক থাকলেও রবিবার নিজেই কিছু স্পেশাল টাচ দিয়ে স্বামী ও সন্তানকে আনন্দ দিই। খাওয়ানো এবং নিজে খাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে চাই না কোনও দিন। |
কফি ক্যারামেল |
ব্রিটানিয়া কেক, চিনি, কফি, জেলোটিন, দু’কাপ ক্রিম, ভ্যানিলা এসেন্স ও জল দরকার। প্রথমে ক্রিমটা ১০ মিনিট ডিপ ফ্রিজারে রাখতে হবে। ওভেনে বা গ্যাসে জল গরম করে কফি বানিয়ে নিন। অন্য পাত্রে চিনি গরম করতে দিন, ব্রাউন হয়ে গেলেই নামিয়ে নিন, পুড়ে যাওয়ার আগেই। এর পর কফির মধ্যে চিনির পেস্ট মিশিয়ে হাল্কা আঁচে বসাতে হবে। সমানে নাড়তে থাকুন, যাতে জমে না যায়। মিশ্রণটা নামিয়ে আলাদা পাত্রে রাখুন। গ্যাসে জল গরম করে ক্রিম ফ্রিজার থেকে বার করে গুলে নিন। থিক পেস্ট তৈরি হলে ক্রিমশুদ্ধ পাত্র আবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। এ বার জেলাটিন ঠান্ডা জলে ভাল করে গুলে নিন। ফ্রিজ থেকে ক্রিম বার করে মিশিয়ে নিন। সমানে নাড়তে হবে, তার পর মিনিট পনেরো ফ্রিজে রাখুন। থিক হয়ে এলে বার করুন।
সার্ভিং টিপস: ব্রিটানিয়া কেকগুলো নীচে সাজিয়ে তার ওপর কফির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন। সার্ভ করার আগে ক্রিমের পেস্ট বার করে কোন দিয়ে অথবা হাতে ইচ্ছে মতো ডেকরেশন করে দিন। |
ভেটকি তেরিয়াকি |
ভেটকি ফিলে, তেল, পার্সলে পাতা, ক্যাস্টর শুগার, হোয়াইট ওয়াইন, ডার্ক সয়া সস, ব্র্যান্ডি আর শেরি লাগবে। প্রথমেই সস রেডি করতে হবে। এক চামচ ক্যাস্টর শুগার, দেড় চামচ ব্র্যান্ডি, দু’চামচ ডার্ক সয়া সস মিশিয়ে গুলে রাখুন। ভেটকি ফিলেগুলো একটা পাত্রে রেখে সসটা ভাল করে মাখিয়ে দিন। ফ্রিজে ২০ মিনিট ম্যারিনেট করতে দিন। এর পর ওভেনে সাদা তেল গরম করুন। ম্যারিনেটেড ভেটকি ফিলে এক পিস করে সাবধানে ভাজুন। উল্টেপাল্টে দিন। এর পর ৩-৪ মিনিট ভাপাতে হবে, অনেকটা রোস্টের মতো। প্রতিটা টুকরোই হবে কালচে ব্রাউন রঙের। হয়ে গেলে লম্বা বা ছড়ানো পাত্রে রাখুন। ওপর থেকে পার্সলে পাতা, আদা কিংবা মুলো কুচি মাছগুলোর চার দিকে ছড়িয়ে দিন। |
চিকেন ইন স্প্যানিশ স্টাইল |
চিকেন, ময়দা, ক্যাপসিকাম, টমেটো, রসুন কুচি, মাশরুম, ব্ল্যাক অলিভ, গ্রিন অলিভ, পেঁয়াজ কুচি ও মাখন। ময়দা ও নুন মাখিয়ে চিকেন পিসগুলো ম্যারিনেট করুন। এর পর সাদা তেলে ভাল করে ভেজে অন্য পাত্রে নামিয়ে রাখুন। ফ্রাই প্যানে মাখন, রসুন ও পেঁয়াজকুচি, মাশরুম, ক্যাপসিকাম দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে একটা পাত্র গরম করে গ্রিন ও ব্ল্যাক অলিভ একটু নেড়ে নিন। বেকিং ডিশ-এ চিকেন পিসগুলো সাজিয়ে নুন, মরিচ ও টমেটো ছড়িয়ে দিন। আগে থেকে ভেজে রাখা মাশরুম-ক্যাপসিকাম ও অলিভগুলো ছড়িয়ে দিন। আন্দাজ মতো জল ছিটিয়ে দিন। অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েলে জড়িয়ে ৪৫ মিনিট মতো ওভেনে রাখুন। টোস্ট বা স্যান্ডউইচের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
|
খাওয়াবদল: আমন্ড পনির কারি |
প্রথমে জোগাড় করে ফেলুন: পনির বড় বড় পিসের (২০০গ্রাম), আমন্ড বাটা ৩-৪ চা চামচ, কিশমিশ বাটা ৩-৪ চা চামচ, সাদা তিল বাটা ১ চা চামচ, আদা বাটা ৪ চা চামচ, জিরে বাটা ২ চা চামচ, সাদা তেল, সামান্য জল, গোলাপ জল ১ চা চামচ, শুকনো লঙ্কা ৩-৪টি, চেরিফল ৮-১০টি, নুন, ও সামান্য চিনি।
এ বার যা করতে হবে: প্রথমে শুকনো লঙ্কা আর পনির সাদা তেলে হাল্কা করে ভেজে রাখতে হবে। তার পর ওই তেলে সামান্য নুন দিয়ে প্রথমে আদা ও জিরে বাটা দিয়ে ভাল করে কষাতে হবে। তার পর একে একে আমন্ডবাদাম বাটা, সাদা তিল বাটা, কিশমিশ বাটা দিয়ে কষাতে হবে। সামান্য চিনি দিতে হবে। ঘন হয়ে এলে সামান্য জল দিতে হবে। থকথকে অবস্থায় ভাজা পনির তাতে ঢেলে হাল্কা করে ওপরে-নীচে নেড়ে নামিয়ে ওপরে গোলাপ জল আর লাল চেরিফল ছড়িয়ে পরিবেশন করুন ‘আমন্ড পনির কারি’। গরম গরম পরোটার সঙ্গে ইহা ভাল জমবে।
অঞ্জলী মল্লিক। বেলঘড়িয়া, রথতলা
|
এখন থেকে ‘খাওয়াবদল’-এ পাঠাতে পারেন
মজার মজার রেসিপি। শব্দসীমা: ২০০। পাঠান:
খাওয়াবদল,
রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১ |
|
সাক্ষাৎকার: অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায়
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য |
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
lঅনশন খ্যাত অণ্ণা হাজারে মহাশয়ের গ্রামের নাম বদলে তাঁর নামেই রাখা হচ্ছে; অর্থাৎ ‘অণ্ণা গ্রাম’। তবে এ বার মাননীয় সুশান্ত ঘোষের গ্রামের নাম পাল্টে ‘কঙ্কালিতলা রাখা হোক!
বাপী ঘোষাল। ব্যান্ডেল
lভারত-বাংলাদেশ জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হল। এই ঘটনায় একটা কথা পরিষ্কার বোঝা গেল যে, পুরনো প্রবাদটি একটু বদলে গেলেও এখনও সত্যি ভাগের মা তিস্তা পায় না।
রঞ্জন তালুকদার। মানিকগঞ্জ
lপ্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ঢাকা যাওয়ার পরে সেখানে ট্রাফিক লাইটে কি এই গানটা বেজেছিল: অয়ি ভুবন-মনমোহিনী...
মালিনী তপাদার।
lদেবেশ রায়ের পরবর্তী উপন্যাস ‘তিস্তা ভাগের বৃত্তান্ত’। বাঘারুর চরিত্রে অভিনেতার সন্ধান চলছে। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, কেন্দ্র আগে থেকে আলোচনা না করায় তিনি এই নাটকটি পরিচালনা করবেন না! সুমন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
অনু শীল। ভবানীপুর
lভবানীপুরের ভোটাররা এখন গাইছেন: ‘...কে তুমি ‘নন্দিনী’? আগে তো দেখিনি, চলেছ ভোট-পথে, সামনে ‘সিংহবাহিনী’...!
রতন দত্ত। বাঘাযতীন
lইংল্যান্ডে ধোনি: বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি লিট, টেস্ট সিরিজে Delete!
সন্দীপন দত্ত। কল-৮৬
lবিমানবন্দরে নামা থেকে শুরু করে মাঠে নামা অবধি, এত ‘গোল’ দেখে, মেসির নিজের গোলের ইচ্ছেটা মাঠেই মারা গেল!
গৌতম মুখোপাধ্যায়। খড়দহ
lনতুন নতুন এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতায় আসার ফলে কপু-র বপু বিশাল হল, কিন্তু থানা গাড়ায় হানা কমবে কি না, সেটা কেবল ভবিষ্যৎই বলবে!
মৃণালিনী মুখোপাধ্যায়। সমাজগড়
lএকের পর এক যুবকের মৃত্যু হচ্ছে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোর ফলে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা পুলিশকে দুষছি, হাসপাতালকে দুষছি, কিন্তু কিছুতেই হেলমেট পরাটা যে আমাদের দরকার, এই কথাটা ঘিলুতে ঢুকছে না।
বিপাশা নাগ। দমদম পার্ক
lএ বার পুজোয় আমায় খুঁজো।
অনামিকা। ম্যাডক্স স্কোয়ার |
|
|
|
খেলাটার নাম ক্রিকেট, ভদ্রতা তার টিকেট।
যায় না বলা কাউকেই তাই ‘গাধা’,
শিষ্টতাতেই আসে যে তার বাধা।
বাউন্ডারি ক্রস করে যে ফুঁসেন,
মাইক্রোফোনে খিস্তিখেউড় ঠুসেন,
আগ বাড়িয়ে অ-শাস্ত্রীয় ঢুঁসেন
ঘুঁটের মালা পেলেন,নাসের হুসেন |
|
|
|
জর্জ ওয়াশিংটনের নকল দাঁত কী থেকে তৈরি হয়েছিল? বেশির ভাগটাই জলহস্তীর দাঁত থেকে। দাঁতের জন্যেই ওয়াশিংটনকে মরতে হয়েছিল। জন অ্যাডাম্স-এর মতে, ওয়াশিংটনের দাঁত পড়ে গিয়েছিল শক্ত শক্ত ব্রাজিল নাট চিবিয়ে খাওয়ার জন্যে। আধুনিক ইতিহাসবিদরা অবশ্য মনে করেন, তা নয়, তাঁর দাঁত খারাপ হয়ে গিয়েছিল ম্যালেরিয়া আর বসন্ত রোগ সারানোর জন্য মার্কিউরি অক্সাইড খাওয়ার ফলে।
মাত্র ২২ বছর বয়সেই ওয়াশিংটনের দাঁত পড়া শুরু হয়। যখন তিনি প্রেসিডেন্ট হন, তখন তিনি একটি মাত্র দাঁতের মালিক। তিনি অনেকগুলো নকল দাঁতের সেট বানান। এর মধ্যে চারটে সেট বানিয়েছিলেন জন গ্রিনউড নামে ডেন্টিস্ট।
সাধারণ ধারণা হল, দাঁতগুলো ছিল কাঠের তৈরি। আসলে তা নয়, এগুলো তৈরি হয়েছিল জলহস্তী আর হাতির দাঁত দিয়ে। আর দাঁতগুলো একসঙ্গে গাঁথা হয়েছিল সোনার স্প্রিং দিয়ে। পাতটা বানানোর জন্য জলহস্তীর দাঁত ব্যবহার করা হয়েছিল, এর মধ্যে মানুষের, ঘোড়ার আর গাধার দাঁতও গেঁথে দেওয়া হয়েছিল। দাঁতের জ্বালায় ওয়াশিংটনকে সর্ব ক্ষণ ভুগতে হত। এই অসুবিধেটা তাঁর অনেক ছবিতেই ফুটে উঠেছে। এমনকী, এক ডলারের নোটে তাঁর যে ছবিটা এখনও ছাপা হয়, তাতেও।
আধুনিক রাসায়নিক পদ্ধতিতে দাঁত তৈরির আগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের দাঁতই ব্যবহার করা হত। কিন্তু এই দাঁতগুলো খারাপ হলে বা তাদের আগের মালিকের সিফিলিস জাতীয় ব্যাধি থাকলে, সেগুলো খসে পড়ে যেত।
দাঁতের মালিক হিসেবে সেরা ছিল সুস্থ অবস্থায় মৃত অল্পবয়স্ক মানুষ। আর তাদের পাওয়ার সেরা জায়গা ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে। এমনই একটা জায়গা ছিল ওয়াটারলু, যেখানে ৫০ হাজার সৈন্য মারা গিয়েছিল আর বাঁধানো দাঁতের বাজারে বিক্রির জন্য মৃতদেহগুলোর দাঁত লুঠ হয়ে গিয়েছিল। বহু দিন বাঁধানো দাঁতকে ‘ওয়াটারলু দাঁত’ বলা হত।
|
তথ্যসূত্র: দ্য বুক অব জেনারেল ইগনোরেন্স |
|
|
বোঝাই যাচ্ছে কলকাতার গরিবদের জন্য
মায়ের চেয়ে ‘মেসি’র দরদ বেশি! পিঙ্কি প্রামাণিক, আড়িয়াদহ |
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
১৯৪৭ সাল স্বাধীনতার বছর। ম্যাট্রিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল মার্চে। সে বছর পিছিয়ে হল প্রায় তিন মাস পরে। টেস্ট পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। বয়সে বড় এক সহপাঠী বলল ইংরেজি নিয়ে তার যত ভাবনা। আমি বললাম, কিছু ভাবতে হবে না। আমার কাছে একেবারে ‘আসল’ খবর আছে। গৃহশিক্ষককে দিয়ে আমার পরীক্ষা নেওয়া একটি সুন্দর হাতে লেখা ইংরেজি প্রশ্নপত্র দেখিয়ে বললাম, পরীক্ষার দিনে এইটাই ছাপার অক্ষরে পাবে। তাড়াতাড়ি সেটি আমার হাত থেকে নিয়ে চলে গেল। মনে মনে হাসলাম। পরে জেনেছিলাম, সে ওই ক’টি প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল; যার একটাও প্রশ্নপত্রে আসেনি। পাশ করতে পারেনি। সে কথা ভাবলে মন খারাপ হয়ে যায়। তাঁর মৃত আত্মার কাছে ক্ষমা চাইছি। গোবিন্দ মতিলাল, কলকাতা-৮
|
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|