এক ঠিকাদারকে হুমকি দিয়ে টোকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে পুজো কমিটির সম্পাদককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে বালুরঘাট থানায় ডেকে এনে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধৃতের নাম রঞ্জিত পোদ্দার। তিনি বালুরঘাট শহর যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি। এই ঘটনায় বালুরঘাট থানার বিরুদ্ধে শহরের একাংশ পুজো কমিটির পাশাপাশি জেলা কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দুর্গাপুজো বয়কটের হুমকি দিয়ে আন্দোলনের কথা ভাবছে বিগ বাজেটের কয়েকটি পুজো কমিটি। দক্ষিণ দিনাজপুরেরর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেমস কুজুর। বলেন, “ঘটনার সঙ্গে পুজোর চাঁদা আদায়ের সম্পর্ক নেই। প্রায় ২ কোটি টাকা কাজের বরাত পাওয়া ওই ঠিকাদার সংস্থার তরফে জোর করে কাজের পাঁচ শতাংশ টাকা আদায়ের চেষ্টার নালিশ করা হয় রঞ্জিতবাবুর নামে। তাঁকে গ্রেফতার করে মামলা করা হয়েছে। এখন ক্লাবগুলি ঘটনাটিকে ঘোরাতে চাইছে।” শুক্রবার সকালে সাহেবকাছারি এলাকার পুরসভার উৎসব ভবনে জরুরি সভা ডাকেন শহরের ২৩টি অন্যতম দুর্গাপুজো এবং কালী পুজোর সঙ্গে জড়িত ক্লাব কর্তারা। সেখানে প্রস্তুতি কমিটি গড়ে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সৃজনি সঙ্ঘ ক্লাবের সম্পাদক তথা সিপিএমের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিশির দে’র অভিযোগ, “পুলিশ ঘটনাটি যাচাই না করে মিথ্যা অভিযোগে থানায় ডেকে নিয়ে নিয়ে কমিটির সম্পাদককে গ্রেফতার করেছে। সব সময় আলোচনার করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা বা ডোনেশন নেওয়া হয়। কথাবার্তার পর ওই ঠিকাদার রাজিও হন। পরে তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, “অভিযোগের তদন্ত না করেই বালুরঘাট থানার পুলিশ রঞ্জিৎ পোদ্দারকে গ্রেফতার করল। আমরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব।” ধৃত রঞ্জিতবাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। ওঁদের সঙ্গে পুজো বাবদ ডোনেশন দিতে রাজি হন।”
|
গণপিটুনিতে এক বৃদ্ধের মৃতু কেন্দ্র করে মানিকচক থানার কামালতিপুর গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের নাম, ক্ষিতীশ মন্ডল (৭০)। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশ সুপার জযন্ত পাল বলেন, “জমির বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের গোলমালে একজনের মৃত্যু হয়। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কামালতিপুর গ্রামে তিন বিঘা জমি নিয়ে ক্ষিতীশ মন্ডল ও রমেশ মন্ডলের মধ্যে বিবাদ চলছিল। শুক্রবার মেশ মন্ডল একা ওই বিতর্কিত জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। এ খবর জানার পর ক্ষিতীশ মন্ডল কয়েক জনকে নিয়ে রমেশ মন্ডলের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। রমেশ মন্ডলকে মারধর করার খবর পেয়ে তাঁর দলবল লাঠি, তির, ধনুক নিয়ে ছুটে গিয়ে পাল্টা হামলা করে বলে অভিযোগ। দু’দলের সংঘর্ষ থামাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ছুটে যায় কামালতিপুর গ্রামে। মজখম অবস্থায় ক্ষিতীশ ও রমেশকে মালদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে হাসপাতালে ক্ষিতীশ মন্ডল মারা যায়।
|
সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের স্বনির্ভর করে মূল স্রোতে ফেরাতে উদ্যোগী রাজ্য কারা দফতর। শুক্রবার কালিয়াগঞ্জের চিড়াইল পাড়ায় আয়োজিত তৃণমূলের এক কর্মিসভার পরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “সাজার মেয়াদ শেষে বন্দি যাতে সমাজে ফিরে নিজেকে একা মনে না-করে সেই জন্যই রাজ্য সরকারের তরফে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দিদের স্বনির্ভর করাও রাজ্য সরকারের প্রধান লক্ষ্য।” কারামন্ত্রী জানান, সংশোধনাগারে ‘কালচারাল থেরাপি’ শুরু হচ্ছে। তাতে বন্দিদের গান, বাজনা, নাটক, ছবি আঁকা, শেখানো হবে। নিরক্ষর বন্দিদের সাক্ষর করার কাজও করবেন অন্য বন্দিরা। সমস্ত বন্দিদের ফুটবল, ভলিবল, কবাডি-সহ বিভিন্ন খেলা শেখানো হবে। সংশোধনাগারের বন্দিদের নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হবে। এ ছাড়া বন্দিদের কাঠের কাজ, বই বাঁধানো, তাঁতের কাজ, সেলাই, পাউরুটি তৈরির কাজ শেখানো হবে। কারামন্ত্রী এ দিন বলেন, “ইতিমধ্যেই রাজ্যের কয়েকটি সংশোধনাগারে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। এর পরে জেলার সমস্ত সংশোধনাগারে একযোগে এই কাজ শুরু হবে।” |
চার মাস ধরে কোচবিহার জেলায় বিপিএল তালিকাভুক্তদের রেশনে চিনি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ওই ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন জেলার ৭ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ। পুজোর মুখে এমন ঘটনায় জেলা জুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন জেলার খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের আধিকারিক, কর্মী ও রেশন ডিলাররা। জেলা খাদ্য নিয়ামক মানিক সরকার বলেছেন, “বরাদ্দ না-মেলায় জুন মাস থেকে কোচবিহারে বিপিএল তালিকাভুক্ত বাসিন্দাদের রেশনে চিনি দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পুজোর আগে সমস্যা মিটিয়ে রেশনে চিনি দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।” |