এক রেশন ডিলারকে তুলে নিয়ে পালানোর সময়ে গাড়ির টায়ার ফেটে অপহরণের চেষ্টা ব্যর্থ হল দুষ্কৃতীদের। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মালদহের চাঁচলের কানাইপুর এলাকায়। অপহরণের পরে ১০ কিলোমিটার পালানোর পরে চাকা ফেটে যাওয়ার পরে দুষ্কৃতীরা গা ঢাকা দেয়। গাড়ির চালককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি, ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দু’জনকে থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা শুরু হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃত গাড়ির চালকের নাম আসিফুল হক। তার বাড়ি চাঁচলেরই চাঁন্দোয়া দামাইপুর এলাকায়। অন্যদিকে, উদ্ধার হওয়া রেশন ডিলারের নাম আনন্দ সিংহ। রেশনের ডিলারশিপের পাশাপাশি কানাইপুরে আনন্দবাবুর একটি মার্কেট কমপ্লেক্স রয়েছে। সেখানে তাঁর কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। বাড়ির কাছেই নিজের দোকানে বসে মোবাইলে গান শুনছিলেন তিনি। দোকানের কর্মচারী খাতাপত্র লেখার কাজ করছিলেন। সেখান থেকে দুষ্কৃতীরা ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যায়। এলাকার ৭ দুষ্কৃতীর নামে এই ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, “রেশন ডিলারকে অপহরণের পরে গাড়ির চাকা ফেটে গেলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশকে জানায়। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” ওই ব্যবসায়ীও বলেন, “টাকার জন্যই আমায় অপহরণ করা হয়েছিল। গাড়িতে তুলেই দুষ্কৃতীরা সে কথা বলে। প্রথমে ওদের কাউকে চিনতে পারিনি। পরে গাড়িতে সবাইকে চিনতে পারি।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচলের রামপুর, বাহারাবাদ ও থারাইস এলাকার ৭ দুষ্কৃতী আফসার আলি, বাক্কার আলি, ইসফ আলি, মহম্মদ সুকুল, আবদুল তাইব, ইদ্রিস আলি এবং আবদুল মকিম ওই অপহরণ কাণ্ডে জড়িত বলে ওই রেশন ডিলার অভিযোগ করেছেন। অপহরণের সময়ে দুষ্কৃতীরা মুখে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। কোও কিছু বোঝার আগেই মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ওই রেশন ডিলারকে অ্যাম্বাসাডরে তোলা হয়। আনন্দবাবুর দোকানের কর্মচারী আইয়ুব আলি বলেন, “চিৎকার শুনে বেরিয়ে দেখি আনন্দবাবুকে কিছু লোক টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলছে। বাধা দিতে গেলে গুলি করার ভয় দেখায়। দুষ্কৃতীরা চলে যেতেই চিৎকার করে লোকেদের সব জানাই।” গাড়ির চাকা ফেটে যাওয়ার পরে দুষ্কৃতীরা ওই রেশন ডিলারকে গাড়ি তেকে নামিয়ে বাঁধের রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মোবাইল ফোনে সর্বত্র অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়ায় ওই এলাকার বাসিন্দারা সন্দেহজনক গাড়িটিকে লক্ষ করেন। তাঁরা চালকের কাছে ঘটনা শুনে আবু বক্কর নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরেও ফেলেন। কিন্তু অন্ধকারে জলকাদার সুযোগ নিয়ে সে পালিয়ে যায়। পালায় অন্যরাও। |