|
|
|
|
|
১৭ টু ৭০
পুজোর এভারগ্রিন |
মেকআপ ছাড়া পুজো? যেন কুমার ছাড়া উত্তম! হয় নাকি?
কিন্তু যেমনতেমন হলেই তো আর হল না, চাই ঠিক বয়সের
মানানসই মেক-আপ। টিন-এজ, মাঝ-বয়স ও তার পরের,
আলাদা স্টাইলের মেকআপ পাঠ। অনিরুদ্ধ চাকলাদার |
|
|
পুজোর চারটে দিন চুটিয়ে সাজব বলে সবাই অপেক্ষা করে থাকে। ছোটরা ভাবে পুজোর ওই ক’টা দিন মায়ের লিপস্টিক লাগালে নিশ্চয়ই কেউ বকবে না। কলেজ পড়ুয়ারা কলেজ ফেরত নিজেদের পছন্দ মতো মেক-আপের সাজ-সরঞ্জাম কিনে ফেলে। আর এ ছাড়াও এক দল আছে, যারা না সাজতে জানে, না সাজতে পারে, কিন্তু পুজোর শপিংয়ের সঙ্গে কিছু মেক-আপ দ্রব্য কিনে ফেলে পুজোর সময় সাজব বলে। কিন্তু সেটা প্রায় খিচুড়ি সম হয়ে যায়। আমাদের মাস্টারমশাই সব বয়সের সাজগোজ সম্বন্ধে বিশেষ টোটকার হদিশ দিয়েছেন।
|
টিন-এজ |
এই বয়সের মেয়েরা নতুন নতুন সাজতে আরম্ভ করে। সাজগোজ সম্বন্ধে শরীর ও মন দু’টোই সচেতন হতে শুরু করে। টিন-এজারদের ডেবিউ পুজোর সাজগোজ মনে রাখার মতো হতে হবে। কিন্তু টিন-এজারদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, অতিরিক্ত মেক-আপের ভারে যেন তাদের ‘ফ্রেশ লুক’ ব্যাপারটা যেন ঢাকা না পড়ে যায়। যারা শুধু বিভিন্ন প্যান্ডেলে ঘুরে পুজো কাটাতে চাও, তারা শুধু কাজল আর লিপস্টিক এই দু’টির ব্যবহার ভাল করে শিখে নিও। এ ছাড়া যারা কোনও একটি বিশেষ প্যান্ডেলে বসে চার দিন কাটাবে, তারা বেস হিসেবে হাল্কা ফাউন্ডেশন লাগাবে। হাল্কা রঙের আই শ্যাডো পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারো। চোখের ওপর পাতায় আই লাইনার অথবা কোল পেন্সিলের একটি রেখা টানলে ভাল লাগবে। কিন্তু কখনওই নীচের পাতায় লাগাবে না। এর সঙ্গে দু’পরত মাস্কারা অবশ্যই লাগাবে। হাল্কা কোনও ব্লাশ-অনের ছোঁয়া হলে খারাপ লাগবে না। কিন্তু ব্লাশ-অন যেন খুব প্রকট না হয়। ঠোঁটে কিছু না দিলেই ভাল হয়। লিপস্টিক লাগালে কোনও হাল্কা রংই ভাল। তবে কোনও টিন-এজারকে ম্যাট লিপস্টিক একেবারেই মানায় না। |
মধ্য তিরিশ |
অনিরুদ্ধ চাকলাদারের মতে, মেয়েদের জন্য এই বয়সটি সবচেয়ে সুন্দর। কারণ এই সময় জীবন তাকে পরিপূর্ণতা দেয় এবং সে ধীরে ধীরে মোহময়ী ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। না সে অতিরিক্ত ক্যাজুয়াল থাকতে পারে, আবার অতিরিক্ত সচেতনতাও তাকে মানায় না। সুতরাং তার সাজগোজ হওয়া উচিত ব্যক্তিত্ব ও আবেদনের মিশ্রণ। ত্বকের যে স্বাভাবিক রং, একদম সেই রঙের ফাউন্ডেশন ও কমপ্যাক্ট লাগানো উচিত। একটু লাল-ঘেঁষা আই শ্যাডো সকেটে লাগিয়ে ওই রঙের তুলনায় গাঢ় শেডের একটি আউট লাইন দিতে হবে। কালো এবং ব্রাউন আই শ্যাডো মিশিয়ে লাগাতে হবে এবং কালো কোল পেন্সিল দিয়ে অবশ্যই লাইন টানতে হবে। কালো মাস্কারা লাগাতে ভুলবেন না। ব্লাশ-অন হিসেবে ব্রিক-ব্রাউন রংটি ব্যবহার করতে পারেন। লিপস্টিক হিসেবে মাঝামাঝি লাল রংটি বাছতে পারেন। চুল খোলা থাকলে ভাল। |
চল্লিশের শেষ ভাগ |
মেয়েদের জীবনে বয়সের এই বিশেষ ধাপটি তাকে একটি কঠিন সঙ্কটের সম্মুখীন করে দেয়। সংসারের চাপ বিভিন্ন দায়-দায়িত্বের ভারে সে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। বেশির ভাগ মেয়েরা তাদের নিজেদের আইডেন্টিটি খুঁজতে থাকে। হয়তো তার সাজতে ইচ্ছে করে, কিন্তু অনভ্যাস, বয়স, সব কিছু মিলিয়ে সে পিছিয়ে আসে। কিন্তু প্রকৃত সুন্দর সামঞ্জস্যপূর্ণ সাজগোজ তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে।
সে ভাবতে শুরু করে সে-ও সুন্দর। তার প্রায় একটি পুনর্জন্ম ঘটে।
ময়শ্চারাইজার যুক্ত কোনও ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। পাউডার ব্যবহার একদমই চলবে না, কারণ এতে ত্বক আরও শুকনো দেখাবে। এ ক্ষেত্রে মুখের কোনও অংশকে স্পষ্ট করে তোলার জন্য বিশেষ মেক-আপ বা অতিরিক্ত কোনও আউট লাইন ব্যবহার করা চলবে না। চোখে চারকোল রঙের আই শ্যাডো ব্রাউনের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে হবে এবং মাস্কারার একটা টান অবশ্যই বুলিয়ে নিতে হবে। ব্লাশ-অনের জন্য একটি হাল্কা ব্রাউন আই শ্যাডো গোলাকৃতি টানে লাগিয়ে নিতে হবে। লিপস্টিকের জন্য ন্যাচারাল ক্রিম ম্যাট শেড লাগানোই ভাল।
|
টিন-এজ মেক-আপ, মডেল: সুপ্রীতি
মধ্য তিরিশের মেক-আপ,
মডেল: স্মিতা গঙ্গোপাধ্যায়
চল্লিশের শেষ ভাগের মেক-আপ,
মডেল: অর্পিতা সরকার
ছবি: আশিস সাহা
কেশ বিন্যাস: নূর আলম (৯৮৩০৮৭৩১৬৩)
পোশাক ও স্টাইলিং: সন্দীপ ঘোষাল (স্যান্ডি) (৯৮৭৪৪৫৯৯৮৫) |
|
|
|
|
|