দিঘার পর এ বার ভূপতিনগর থানা। ফের এক ধৃত দলীয় নেতাকে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ঘোলবাগদা গ্রামের তৃণমূল বুথ সভাপতি অনুপম জানাকে গ্রেফতার করে থানায় আনে। অনুপমবাবুকে ছাড়িয়ে আনতে গভীর রাতেই ভগবানপুর-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ কয়াল ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রবীন্দ্রনাথ মাইতির নেতৃত্বে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর শ’খানেক কর্মী-সমর্থক থানায় চড়াও হয়। থানা চত্বরে আবার দু’ই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। মারপিট, মোটরবাইক ভাঙচুরে রীতিমতো বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। কাঁথির এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু বিরাট বাহিনী নিয়ে থানা চত্বরে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ শুক্রবার অনুপমবাবুকে কাঁথি আদালতে হাজির করে। তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।
এসডিপিও জানান, পুরনো একটি মামলায় অনুপম জানাকে ধরা হয়েছিল। তাঁকে ছাড়াতে এসে একই দলের দু’পক্ষ মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। ধৃতকে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে একটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদীপবাবুর অবশ্য দাবি, আসামি ছিনতাইয়ের কোনও চেষ্টাই হয়নি। রবীন্দ্রনাথবাবুরও অভিযোগ, “অনুপমকে পুলিশ কী কারণে রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার করল, তা জানতেই থানায় যাওয়া হয়েছিল। ধৃতকে ছিনতাই করে আনার কোনও উদ্দেশ্য বা চেষ্টা ছিল না।” তবে দুই তৃণমূল নেতা দলেরই লোকজনের মধ্যে মারপিট, মোটরবাইক ভাঙাভাঙির অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। এ দিকে, বৃহস্পতিবারই কাঁথি শহরের বাইপাসে লরি থেকে মাল ওঠানো-নামানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও কংগ্রেসের দুই শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দু’পক্ষের ইট-পাথর ছোড়াছুড়িতে ১৪ জন আহত হন। পুলিশকে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। তাদের শ্রমিক সংগঠনের দু’জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আবার রাতে থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়।
তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের লোকজন এখন কংগ্রেসের সংগঠনের আড়ালে গোলমাল পাকাচ্ছে। কংগ্রেস আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ‘মাতব্বরি’ ও ‘সন্ত্রাস’ সৃষ্টির অভিযোগ করেছে। |