...গন্ধ এসেছে
দুর্গা এ বার গাঁধীবাদী
‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।’ দক্ষিণ শহরতলির আমতলার নব জাগরণী সঙ্ঘের দুর্গা এ বার ‘গাঁধীবাদী’। মহিষাসুরকে সংযত হওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন তিনি। অসুর দুর্গার চরণে অস্ত্র সমর্পণ করে করজোড়ে ক্ষমা চাইছে। দশভুজার হাতে কোনও অস্ত্রও নেই।
আমতলা রামকৃষ্ণ সারদাপল্লি ওয়েলফেয়ার পুজো কমিটি কথাকলির বিবর্তন ধরতে চায় মণ্ডপে। কেরলের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। ভিতরে ও বাইরে থাকছে ছোট ছোট অবয়বে কথাকলির নানা ভঙ্গিমা। আমতলা উদয়রামপুর রিক্রিয়েশন ক্লাব পুজো কমিটির থিম ‘অমরনাথ যাত্রা’। প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার পাহাড়। উপরে একাংশ কেটে শিবের মন্দির। মন্দিরে ‘শিবলিঙ্গ’। মন্দির থেকে কিছুটা নেমে দুর্গার মণ্ডপ। পাহাড়ের গুহার মুখ দিয়ে ঢুকে উপরে গিয়ে মিলবে দুর্গার দেখা।
পুজোর চার দিন মা দুর্গা থাকবেন ছত্রচ্ছায়ায়। মৌদি ভ্রাতৃসঙ্ঘের পুজো কমিটির মণ্ডপে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকবে দেশ-বিদেশের ছাতা। পুজো কমিটির বক্তব্য, ছাতা দেখেই অনেক সময় দেশের নাম বলে দেওয়া যায়।
বছর পাঁচেক ধরে মহেশতলা আক্রা-কৃষ্ণনগরের নোয়াপাড়া পুজো কমিটির পুজোয় আয়োজন থেকে নিরঞ্জন সবই ৪০ জন মহিলার দখলে। এ বার সেখানে পুজো হবে পাকা মন্দিরে। আট কাঠা জমিতে গড়ে উঠেছে দুর্গামন্দির। কমিটির এক সদস্যা জানান, পাঁচ বছর ধরে তিল তিল করে টাকা জমিয়ে তৈরি হয়েছে পাকা মন্দির।
মহেশতলা পশ্চিম জগতলা পুজো কমিটি হিমাচল প্রদেশের বৈজনাথ মন্দিরের আদলে দুর্গামণ্ডপ তৈরি করছে। কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ ফুট পাহাড়পথ হবে। বৈজনাথের মূল শিবমন্দিরেই থাকবে দুর্গা।
বজবজ ধর্মতলা পুজো কমিটির থিম আধুনিকতায় রামায়ণ। বাল্মীকি এখন নিশ্চয় ‘ল্যাপটপে’ রামায়ণ লিখতেন। সীতার শাড়ি পরার ঢঙ একটু অন্য রকম হত। রাম-লক্ষ্মণ নিশ্চয় নাইন এমএম পিস্তল ব্যবহার করতেন। দুর্গার মূর্তিও হবে ‘আধুনিক’। তবে ঠিক কেমন আধুনিক তা নিয়ে সংগঠকরা মুখ খুলতে চাইছেন না। প্রতিমা তৈরি থেকে মণ্ডপ সবই করছেন পুজো কমিটির সদস্যরাই।

ছবি: পিন্টু মণ্ডল।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.