এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকির ফাইনালে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এবং পাকিস্তান। এ দিন রাউন্ড রবিন লিগে ভারত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে দু’মিনিটে দু’গোল খেয়েও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে নাটকীয় ভাবে ২-২ রুখে দিল।
এই ড্রয়ের ফলে পাকিস্তান ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের এক নম্বর দল হিসাবে ফাইনাল চলে গেল। গ্রুপে অপরাজিত ভারতের (২টি জয়, ৩টি ড্র করে ৯ পয়েন্ট) ফাইনালে ওঠার জন্য দরকার ছিল দ্বিতীয় স্থান পাওয়া। কিন্তু তার জন্য মাইকেল নবসের ছেলেদের তাকিয়ে থাকতে হয় পরের জাপান-মালয়েশিয়া ম্যাচের দিকে। জাপান (৭ পয়েন্ট) শেষ ম্যাচ জিতলে ভারতকে পয়েন্ট তালিকায় টপকে যেত। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মালয়েশিয়া ৩-২ জেতায় ভারতের ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও তরুণ এবং কিছুটা অনভিজ্ঞ ভারতীয় দল যে ভাবে উঠে দাঁড়িয়ে দু’বার গোল শোধ করেছে, তাতে ফাইনালে চিরপ্রতিপক্ষের বিপক্ষে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস এবং মনোবল নিয়েই রজপাল সিংহেরা নামবেন ধরে নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের ছয় মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে ওয়াসিম আহমেদের পাঠানো লম্বা ক্রস ভারতীয় ‘ডি’-এর মধ্যে ধরে ফ্লিক করে পাকিস্তানকে এগিয়ে দেন স্ট্রাইকার মহম্মদ ওয়াকাস। মিনিটখানেক পরেই ম্যাচে তাদের প্রথম পেনাল্টি কর্নার থেকে পাকিস্তানকে ২-০ এগিয়ে রাখেন তরুণ ড্র্যাগ ফ্লিকার মহম্মদ ইরফান। তবে দু’গেলে পিছিয়ে পড়েও ভারত হাল না ছেড়ে সুনীল ও দানিশ মুজতবার প্রচণ্ড গতিকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচে তাদের তৃতীয় পেনাল্টি কর্নার আদায় করে। এবং ইগ্নেস টিরকে বল ঠিক মতো থামাতে না পারলেও বুদ্ধি করে সেই বল চোখের নিমেষে মুজতবা নিখুঁত ক্রস পাঠালে রুপিন্দর পাল সিংহ ১-২ করেন।
৫৩ মিনিটে ভারতের ২-২ করার গোলটি রীতিমতো নাটকীয়। মনজিৎ কুল্লুর জোরাল হিট পাকিস্তান গোলের দিকে পিছন ঘুরে থাকা অবস্থাতেই ধরে দুর্দান্ত ফ্লিকে বল জালে পাঠান মুজতবা। কিন্তু নিউজিল্যান্ড আম্পায়ার ভারতীয় প্লেয়ারের ফাউল বলে গোল না দিয়ে পাকিস্তানকে ফ্রি-হিট দেন। ভারত প্রতিবাদ করলে আম্পায়ার ম্যাচের অপর আম্পায়ারের সঙ্গে পরামর্শের পর সিদ্ধান্ত বদলে গোলের সঙ্কেত দেন। এ বার পাকিস্তানিরা আম্পায়ারকে ঘিরে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। |