সিকিম ইউনাইটেড-৩ (ড্যানিয়ল, বাবাতুন্ডে, সুশীল)
ওএনজিসি-২ (মোদী, নরেশ-পেনাল্টি) |
দিব্যি বসে আছেন। পায়ের ওপর পা তুলে। হাতে পেন আর একটা নোটবুক। সিকিম ইউনাইটেড-ওএনজিসি-র কোয়ালিফাইং ম্যাচ দেখতে প্রেসবক্সে সবার আগে হাজির স্টিভ ডার্বি। ফেডারেশন কাপে তাঁর সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেপে গেলেন মোহনবাগান কোচ।
কী বুঝলেন? মোহনবাগানকে কতটা সমস্যায় ফেলতে পারবে সিকিম ইউনাইটেড? ডার্বির সাফ জবাব, “ভাল গতি আছে দলটার। গোবিন সিংহ আর জেকবের খেলা ভাল লাগল। একবার ভাইচুং আর রেনেডি ঢুকে পড়লে আরও শক্তিশালী হয়ে যাবে দলটা।”
প্রেসবক্সে ডার্বির পাশের ঘরেই সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গে বসে ভাইচুং ভুটিয়া। মোহনবাগান কোচের মতো তিনিও মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখছেন নিজের নতুন গড়া দলের। দলের যাবতীয় ভুলত্রুটির সব তথ্যই যত্ন করে টুকে রাখছেন ডায়েরিতে। এবং তার পাতায় অনেক দুশ্চিন্তার লাইন লেখা হয়েই থাকতে পারে! |
সিকিম ইউনাইটেড ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে সুশীলকে অভিনন্দন ভাইচুংয়ের। -নিজস্ব চিত্র |
ওএনজিসি-কে ৩-২ গোলে হারিয়ে সিকিম ইউনাইটেড ফেড কাপ অভিযান সফল ভাবে শুরু করলে কী হবে, রক্ষণ কিন্তু বেশ চিন্তায় রেখে দিল ভাইচুংদের কোচ স্ট্যানলি রোজারিওকেও। ম্যাচের পর তিনি বললেন, “আমরা তিন গোল করেছি ঠিকই। তবে দু’টো গোল খেয়েওছি। রক্ষণের দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে।” মোহনবাগান মাঠের জল-কাদায় এমনিতেই ঠিক ভাবে দাঁড়াতে পারছেন না ফুটবলাররা। তার উপর জায়গার ফুটবলার জায়গায় না খেললে কী সমস্যা হয়, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন স্ট্যানলি। ড্যানিয়লের পাশে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন গোবিন এবং করন আটওয়ালের মতো ফুটবলার।
রক্ষণের ফাঁক-ফোকর অবশ্য ফরোয়ার্ডদের ভাল খেলার মধ্য দিয়ে ঢাকা পড়ে গেল। চোখ টানলেন ইস্টবেঙ্গল এবং টেকনো এরিয়ান থেকে আসা সুশীল সিংহ ও বাবাতুন্ডে। দু’জনেই একটি করে গোল করলেন। আর একটি গোল বিদেমি-র। ওএনজিসি-র দুই গোলদাতা জগবন্ধু মোদী এবং এ নরেশ।
ভাইচুংয়ের দলের মতোই আর এক পাহাড়ি দল মেঘালয়ের রয়্যাল ওয়াহিংদো-র কাছে ০-১ গোলে হারল সাদার্ন সমিতি। কার্লটন চ্যাপম্যানের দলের হয়ে গোল করেন বয় সিংহ।
এ দিন প্রস্তুতি ম্যাচে দুই বড় দল দ্বিতীয় সারির টিম নিয়ে খেলে। মোহনবাগান গোলশূন্য ড্র করে হাওড়া ইউনিয়নের সঙ্গে। তবে ইস্টবেঙ্গল ৪-১ হারায় কালীঘাট মিলন সঙ্ঘকে। লাল-হলিদের গোল করেন রবিন সিংহ (২), বিকোখোই ও লেন। |