|
|
|
|
হোটেল-লজে দেহ ব্যবসা রুখতে ব্যবস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শহরের হোটেল-লজগুলিতে দেহ ব্যবসা বন্ধে তৎপর হল প্রশাসন। নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। সেই সঙ্গে আবাসিকদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য রেজিস্টারে রাখতে বাধ্য করা হবে হোটেল কর্তৃপক্ষকে। নিয়ম না মানলে সংশ্লিষ্ট হোটেল বা লজের লাইসেন্স বাতিল পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
মেদিনীপুর কোনও পর্যটন কেন্দ্র নয়। তবু ব্যাঙের ছাতার মতো একের পর হোটেল-লজ গজিয়ে উঠছে শহরে। অভিযোগ, বেশিরভাগ হোটেলেই এই কারবার চলে। অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলি। তিনি বলেন, “বিভিন্ন হোটেলে দেহ ব্যবসা চলছে বলে আমাদের কাছেও খবর এসেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার কথা বলা হবে। পুরসভার পক্ষ থেকেও পুজোর আগে পদক্ষেপ করা হবে।”
পুরসভাই হোটেল ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়। অর্থাৎ দরকারে লাইসেন্স বাতিলও করতে পারে পুরসভা। মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায় বলেন, “বিভিন্ন সময়ে তল্লাশি হয়েছে। হোটেলে বেআইনি কাজ রুখতে আবাসিক রাখার ক্ষেত্রে কিছু বিধি আরোপ করা হয়েছে। যে সব হোটেল বিধি মানবে না, তাদের লাইসেন্স নবীকরণও করব না।”
হোটেলে আবাসিক রাখার বিধি-নিষেধ অবশ্য বহু দিন আগেই আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। রমরমিয়ে চলে যৌন ব্যবসা। স্কুলের ছেলেমেয়েদের একাংশও এতে জড়িত বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে হোটেলগুলি নিয়মের নিগড়ে বাঁধতে চাইছে প্রশাসন। এ বার থেকে সংশ্লিষ্ট হোটল বা লজের রেজিস্টার দেখে নবীকরণের নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমাশাসক। কোন দিন কে হোটেলে ছিলেন, তাঁর ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ছবি-সহ পরিচয়পত্র রাখাও আবশ্যিক করা হচ্ছে। এর মধ্যে কোনও একটি ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা হল লাইসেন্স নবীকরণ করা হবে না বলে প্রশাসন জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|