|
|
|
|
গোয়ালতোড়ে শিক্ষককে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোয়ালতোড় |
আগে জঙ্গলমহলে ‘সশস্ত্র শিবির’ চালাতেন, এই অভিযোগে সিপিএম-ঘনিষ্ঠ এক প্রাথমিক শিক্ষককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল সমর্থক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে গোয়ালতোড়ের পিংবনির এই ঘটনায় গুরুতর আহত ওই শিক্ষক বিপ্লব মল্লিককে প্রথমে গোয়ালতোড় ব্লক হাসপাতাল ও পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। |
|
প্রহৃত শিক্ষক বিপ্লব মল্লিক। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
গত ১৩ মে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই পিংবনির বাড়ি ছাড়া হন বিপ্লববাবু। স্কুলেও যাচ্ছিলেন না। দু’মাসের বেতনও পাননি। এ দিন সকালে বাড়ি ফিরে স্কুলে যান। অভিযোগ, স্কুলের সামনেই তৃণমূল সমর্থক গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে ধরে রড, লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে বিপ্লববাবুর স্ত্রী ও বাড়ির অন্যরা পৌঁছলে উত্তেজিত গ্রামবাসী তাঁদের উপরেও চড়াও হয়। পরে মারধরে জখম বিপ্লববাবুকে গোয়ালতোড় শহরগামী একটি বালির লরিতে তুলে দেয় গ্রামবাসীই।
ওই শিক্ষকের স্ত্রী সোনালি মল্লিকের অভিযোগ, “তৃণমূলের মদতেই গ্রামবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কোথাও অভিযোগ করলে আবার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে সবাইকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে।” ব্লক তৃণমূল সভাপতি রবি রায়ের অবশ্য দাবি, “ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। সিপিএমের সশস্ত্র শিবির চালানোয় যুক্ত থেকে এক সময়ে বিপ্লববাবু অনেক অত্যাচার করেছেন। তাই জনরোষের শিকার হয়েছেন।” ভোটের পরে বিপ্লববাবুর বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বলেও স্থানীয় সূত্রের খবর।
বিপ্লববাবুর নিজের দাবি, “আমি সিপিএমের সমর্থক মাত্র। সদস্যই নই। কিন্তু কখনও গ্রামের মানুষের উপরে কোনও রকম অত্যাচারে যুক্ত ছিলাম না। নিরাপত্তার কারণেই ভোটের ফলপ্রকাশের পরে এলাকা ছাড়া হয়েছিলাম।” তৃণমূলের সমর্থকরাই বাড়িতে অস্ত্র রেখে উদ্ধারের নাটক করেছিল বলেও তাঁর দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, মারধরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|