টুকরো খবর
|
নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ, অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নাবালিকা পরিচারিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি সূর্য অট্টের বিরুদ্ধে। বিধানসভা নির্বাচনে নারায়ণগড়ে সিপিএম প্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থীও ছিলেন এই সূর্য অট্টই। তবে হেরে যান। শুক্রবার ওই পরিচারিকার বাবা যৌন নিগ্রহ বিষয়ে খড়গপুরের এসডিপিও দীপক সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। স্থানীয় বেলদা থানায় দরবার করেও সুরাহা না-মেলাতেই এসডিপিও-র দ্বারস্থ হতে হয়েছে বলেও জানিয়েছে পরিচারিকার পরিবার। সূর্যবাবু অবশ্য দাবি করেন, “মিথ্যে অভিযোগ। আমি নোংরা রাজনীতির শিকার।” তৃণমূলের একাংশই ‘চক্রান্তে’ যুক্ত বলে তাঁর অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। গত ২০ জুলাই থেকে সূর্যবাবুর বাড়িতে কাজ শুরু করেছিল বছর চোদ্দোর মেয়েটি। গত ৮ অগস্ট মেয়েটি নিজের বাড়িতে ফিরে কান্নাকাটি শুরু করে। সূর্যবাবু প্রায় দিন দুপুরে বাড়িতে তাকে একা পেয়ে যৌন নিগ্রহ করতেন বলে মেয়েটি বাড়িতে জানায়। তার বাবা তখনই বেলদা থানায় অভিযোগ জানাতে যান। থানা অভিযোগ না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত শুক্রবার এসডিপিও-র দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। অভিযোগ জানানোর পরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও করছে পরিবারটি। দলের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতার বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে নাবালিকাকে বাড়ির কাজে যুক্ত করা এবং যৌন নিগ্রহের মারাত্মক অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায়ের প্রতিক্রিয়া, “সবে শুনেছি। দলীয় স্তরে খোঁজখবর শুরু করেছি।”
|
ছাত্রাবাসে অনিয়ম, তদন্ত শুরু প্রশাসনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
স্কুলের ছাত্রাবাসে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত আবাসিকদের জন্য বরাদ্দ সরকারি টাকার অপব্যবহার ও নয়ছয়ের অভিযোগ আগেই উঠেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে। এ বার দাঁতন-১ ব্লকের ১৪টি স্কুলের ছাত্রাবাসেই এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের আধিকারিক জ্যোতির্ময় তাঁতি। ব্লকের ১৪টি স্কুলে সরকার অনুমোদিত ছাত্রাবাস রয়েছে। এর মধ্যে একটি আবার শুধুমাত্র ছাত্রীদের জন্য। ছাত্রাবাসগুলিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত পড়ুয়াদের জন্য একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেয় অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর। জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ওই টাকা সরাসরি স্কুলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ায় স্থানীয় স্তরে নজরদারির সুযোগ কম। সেই সুযোগে ওই টাকা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ নয়ছয় করেন বলে অভিযোগ। তদন্তের নির্দেশ পেয়ে স্কুলগুলিতে গিয়ে অনিয়মের প্রমাণও পাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। তদন্তের দায়িত্বে থাকা বিডিও তিলকমৌলি রক্ষিত, যুগ্ম বিডিও তপনজ্যোতি বিশ্বাস, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক আধিকারিক তনয়কুমার পাল জানান, অধিকাংশ স্কুলের আবাসনেই পড়ুয়াদের নাম-ধামের রেজিস্টারে গলদ রয়েছে। কোথাও কোথাও প্রকৃত ছাত্রসংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি আবাসিক দেখিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে। একটি স্কুলে আবার আবাসিকের তালিকায় নাম রয়েছে স্কুলের শিক্ষকের। খরচের কোনও হিসাব নেই। বিডিও বলেন, “অধিকাংশ ছাত্রাবাসগুলিরই পরিকাঠামো বেহাল। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। তদন্ত করে রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানোর পরে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
সমন্বয়ে খামতি, সাক্ষরতার অনুষ্ঠান বাতিল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
পুরপ্রধান পারিষদদের মধ্যে ‘সমন্বয়’ না-থাকায় ঘোষিত কর্মসূচি করতে পালন করতে পারলেন না সাক্ষরতা-কর্মীরা। হল না আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন! খড়্গপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরসভায় ‘ক্ষমতাসীন’ তৃণমূলের অন্দরেও শোরগোল পড়েছে। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরসভার সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানের কথা ছিল। সময়মতো পৌঁছে গিয়েছিলেন সাক্ষরতা-কর্মীরা। রেলশহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডেই এক জন করে প্রেরক ও সহ-প্রেরক রয়েছেন। কিন্তু পুরসভায় পৌঁছে কর্মীরা দেখেন, সভাকক্ষে তখন অন্য এক দফতরের কাজ চলছে। রয়েছেন পুরপ্রধান-পারিষদ তৃণমূলের অণিমা সেনগুপ্ত। পুরসভা সূত্রে খবর, সভাকক্ষে তখন রাজীব আবাস যোজনার সমীক্ষা রিপোর্ট সংক্রান্ত কাজ হচ্ছিল। পুর-দফতরের কাজে কলকাতায় গিয়েছিলেন পুরপ্রধান জহরলাল পাল। সভাকক্ষে অন্য দফতরের কাজ চলছে দেখে ক্ষুব্ধই হন আরেক পুরপ্রধান পারিষদ তৃণমূলের চন্দন সিংহ। চন্দনবাবু সাক্ষরতার দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাঁর বক্তব্য, “এখানে যে সাক্ষরতার অনুষ্ঠান রয়েছে তা আগেই জানানো হয়েছিল। আমাদের অন্য ঘরে অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তা মানা সম্ভব হয়নি।” শেষমেশ অনুষ্ঠান বাতিল হয়। কেন এই পরিস্থিতি? অণিমাদেবীর বক্তব্য, রাজীব আবাস যোজনার কাজ হবে বলে ঠিকই ছিল। পরে শুনি, সাক্ষরতার অনুষ্ঠান রয়েছে।” পাশাপাশি তাঁর আক্ষেপ, “ওই অনুষ্ঠান বাতিল না-হলেই ভাল হত।” এ প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বলেন, “অপ্রত্যাশিত ঘটনা। পরবর্তীকালে এমন ঘটনা যাতে না-হয়, সে দিকে পুরসভার নজর থাকবে।”
|
এনায়েতপুরে হাট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
এত দিন এলাকায় স্থায়ী বাজার ছিল না। ক্রেতা-বিক্রেতা, দু’পক্ষই সমস্যায় পড়তেন। রোজ বাজার করতে অন্যত্র যেতে হত। অবশেষে স্থায়ী বাজার গড়ে উঠল। এখন থেকে প্রতি শুক্রবার হাট বসবে এনায়েতপুরে। এ দিন সেই গ্রামীণ হাটের উদ্বোধন হল ঘটা করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর (সদর)-এর বিডিও অয়ন নাথ, সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লোলিতমোহন বাঁশি প্রমুখ। মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগেই এই হাট গড়ে উঠেছে। কৃষিপণ্য থেকে গৃহস্থালির সরঞ্জাম, জামাকাপড় সবই পাওয়া যাবে হাটে। প্রথম দিনই এনায়েতপুর ও আশপাশের এলাকার মানুষ এখানে ভিড় জমিয়েছিলেন। বিডিও’র কথায়, “স্থায়ী হাট গড়ে ওঠায় গ্রামবাসীরা খুব উপকৃত হবেন। গ্রামীণ অর্থনীতিরও বিকাশ হবে।”
|
মোহাড় স্বাভাবিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
শুক্রবার থেকে ফের স্বাভাবিক সবংয়ের মোহাড়। খুলেছে ব্রহ্মময়ী হাইস্কুল। তবে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল কম। বুধবার রাতভর প্রধান শিক্ষক ও যুগ্ম বিডিওকে ঘেরাও ও পরে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়ায় মোহাড়ে। সোমবার সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের কথা। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “শুক্রবার দিনভরই স্কুলে স্বাভাবিক পরিবেশ ছিল।” সবং থানার ওসি হিরন্ময় হোড়ের কথায়, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”
|
বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নানা অনুষ্ঠান করল ‘প্রগতি’। খড়্গপুরের ঝাপেটাপুরে অনুষ্ঠিত হয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় প্রতিযোগিতায় সফলদের পুরস্কৃত করা হয়। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও। উপস্থিত ছিলেন মৃণাল মজুমদার গোপেন্দু মহাপাত্র সুখরঞ্জন মৃধা।
|
ব্লক কমিটি গঠন |
তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষাসেলের মোহনপুর ব্লক কমিটি গঠিত হল। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব কাঙালচন্দ্র দাস, তুহিনকান্তি দাস, প্রদীপ পাত্র। মোহনপুর চক্রের ২৮৭ জন প্রাথমিক শিক্ষকের মধ্যে ২১৭ জনই সংগঠনের সদস্যপদ নিয়েছেন বলে দাবি নেতৃত্বের। নন্দগোপাল জানাকে ব্লক সভাপতি করে ১৭ জনের একটি কমিটি গঠন হয়েছে। |
|