উপকূলের দূষণ রোধেও ‘গ্রিন পুলিশ’
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
পরিবেশ রক্ষা ও দূষণ-রোধে রাজ্য জুড়ে ‘গ্রিন-পুলিশ’ নিয়োগ করতে চলেছে পরিবেশ দফতর। পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার সম্প্রতি দিঘায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়ে বলেন, “বিষয়টি যদিও পরিকল্পনার স্তরেই রয়েছে, তবে দূষণ-রোধে গ্রিন পুলিশ জরুরি।” দূষণ-রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চাই নজরদারিও। গ্রিন-পুলিশ সেই কাজই করবে বলে মন্ত্রী জানান। প্রাথমিক ভাবে বড় শহরের শপিংমল ও বাজারে এই নতুন ধরনের পুলিশকে নজরদারির কাজে লাগানো হবে। নিষিদ্ধ পলিব্যাগ ব্যবহারকারীকে জরিমানা করার ক্ষমতাও থাকবে তাদের।
রাজ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থাকলেও দিঘার মতো উপকূল অঞ্চলে সেই পর্ষদের কোনও নজরদারিই নেই বলে অভিযোগ। রাজ্যে পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম প্রধান এই কেন্দ্রটি দিনে দিনে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হচ্ছে। প্লাস্টিকের কাপ, পলি-প্যাকেট আর ডাবের খোলায় ঢেকেছে রাস্তাঘাট, সৈকত। নিকাশি-ব্যবস্থাও তথৈবচ। হোটেল-লজের যাবতীয় নোংরা সরাসরি সমুদ্রে পড়ায় সমুদ্রের জলও দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। সোনালি বালি, নীল-সফেন ঢেউ আর লালকাঁকড়ার বিচরণের অপরূপ মন্দারমণি-সৈকতও দূষণ এবং অবাধ যানবাহন চলাচলে বিবর্ণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেআইনি-নির্মাণের জেরে সৈকতের ঝাউবন আর বিস্তীণর্র্ বালুয়াড়িও ক্রমশ উধাও হচ্ছে। সুদর্শনবাবুর বক্তব্য, “আগামী কিছু দিনের মধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র চল্লিশ মাইক্রনের নীচে পলিব্যাগ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। সৈকতের পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা হচ্ছে।” |
গুঁতোয় মৃত গন্ডারশাবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
সঙ্গিনী সঙ্গলাভে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় দেড় মাস বয়সী গণ্ডার শাবককে গুঁতিয়ে ও চেটে মেরে ফেলল এক পুরুষ গণ্ডার। বৃহস্পতিবার জলদাপাড়ার পূর্ব রেঞ্জের গভীর জঙ্গলের ভেতর নজরদারি করার সময় ক্ষত-বিক্ষত ওই শাবকটিকে দেখতে পান। ময়নাতদন্তের পরে চিকিসক ও বনাধিকারিকরা বড় গণ্ডারের হামলায় শাবকটির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন। দেড় মাসে এ নিয়ে ২টি গণ্ডার শাবকের মৃত্যু হল জলদাপাড়ায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটেছে বলে বন দফতরের দাবি। কোচবিহারের ডি এফ ও ওমপ্রকাশ বলেন, “জুলাই মাসে শাবকটি জন্মায়। দুধের শিশুটি সবসময় মায়ের সঙ্গে ঘুরত। তাই সঙ্গিনী পেতে পুরুষ গণ্ডারটির বাধা হচ্ছিল শাবকটি। সেই কারণে সে হামলা চালায় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।” কয়েকজন বনকর্মী জানান, জুলাই মাসে শাবকটি জন্মায়। নিয়মিত নজরদারির সময় মার সঙ্গে শাবকটিকে দেখা যেত। কিছু দিন ধরে একটি পুরুষ গণ্ডার তাদের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল তবে বৃহস্পতিবার টহলদারির সময় নির্দিষ্ট জায়গায় মা গণ্ডারটিকে ঘাস খেতে দেখা গেলেও শাবকটি ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাশে গাস বনের ভেতর ক্ষত বিক্ষত শাবকটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার পর অফিসার সহ চিকিসকরা সেখানে পৌঁছন পুরুষ গণ্ডারটি। চিকিৎসকদের মতে, “গণ্ডারের জিভ অত্যন্ত ধারাল। তা শাবকটির পেট চাটায় তার নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। গণ্ডার গণনার পর জলদাপাড়াতে ১৫৫টি গণ্ডার মেলে। গণনার পরে ৭টি শাবকের জন্ম হয়। এই ঘটনার পরে এখন জলদাপাড়ায় গণ্ডারের সংখ্যা ১৬০টি। |
হাইকোর্টের রায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরিকাঠামোয় ত্রুটি থাকলে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গাড়ির ধোঁয়া দূষণ পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করতে পারবে। সঠিক পরিকাঠামোহীন বহু কেন্দ্র ধোঁয়া পরীক্ষার শংসাপত্র দিচ্ছে। পর্ষদ আচমকা পরিদর্শন করে গত বছর এমন কিছু কেন্দ্র বন্ধ করে। ওই সব কেন্দ্রের পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বলা হয়, কেন্দ্র বন্ধের এক্তিয়ার পর্ষদের নেই। ওই মামলাতেই শুক্রবার এই রায় দেয় প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল ও বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। পর্ষদের আইনজীবী নয়ন বিয়ানি জানান, রায়ে আছে পরীক্ষা কেন্দ্র আচমকা পরিদর্শন ও বন্ধ করতে পারবে পর্ষদ। ওই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হলে পর্ষদের আপিল ফোরামে আবেদন করা যাবে। |
সর্পদষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়দিঘি |
খেতে কাজ করে বাড়ি ফেরার সময়ে সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে রায়দিঘির পূর্বজটা গ্রামে। মৃতের নাম তরুলতা মণ্ডল (৩০)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্পদষ্ট ওই মহিলাকে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। |
তিন পায়েই অজস্র ক্ষত। পিছনের পায়ে গুলি লেগে হাড় ভেঙে গিয়েছে। ক্ষতস্থানে পুঁজ জমে গিয়েছে। শুক্রবার কার্সিয়াং বন বিভাগের বামনপোখরির জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া ওই জখম স্ত্রী হাতিটির প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চিকিৎসা হল। ঘুমপাড়ানি গুলি করে হাতিটিকে অচেতন করার পরে কুনকি হাতির সাহায্যে দু’পাশ থেকে ঘিরে ধরে পশু চিকিৎসকেরা ক্ষতস্থন থেকে পুঁজ বার করে ওষুধ লাগিয়ে দেন। দেওয়া হয় অ্যান্টিবায়োটিক এবং স্যালাইন। সন্ধ্যার আগেই হাতিটি সুস্থ হয়ে গভীর জঙ্গলে ঢুকে যায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাসে নেপালে এই হাতিটি গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। অগস্ট মাসে হাতিটিকে খোঁড়াতে দেখে সুকনা এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চিকিৎসার চেষ্টাও হয়। কিন্তু বুনো হাতির দলে এটি ঢুকে পড়ায় তা সম্ভব হয়নি। গত মঙ্গলবার ফের হাতিটিকে দেখতে পেয়ে চিকিৎসার পরিকল্পনা হয়। কার্শিয়াঙের ভারপ্রাপ্ত ডিএফও গঙ্গাবাহাদুর ছেত্রী-সহ অন্যান্য বনাধিকারিকেরাও ঘটনাস্থলে যান। |
পেটের টানে পাহাড় পেরিয়ে |
শুক্রবার উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি। |
গুয়াহাটির কোল ঘেঁষে ঘুরছে বুনো হাতির দল। বুধবার রাতে মেঘালয়ের পাহাড় পেরিয়ে রানি বনাঞ্চলে ঢুকে পড়ে প্রায় কুড়িটি হাতির পাল। বৃহস্পতিবার সকালে সাঁতরে তারা পেরোয় দিপর বিলের অভয়ারণ্য অংশটি। তবে দলের একটি নবজাতক বিল পেরোতে না পেরে একলাই ঘুরতে ঘুরতে চলে যায় সংলগ্ন এলাকার গ্রামে। ছোট্ট হাতিটিকে শুশ্রুষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চিড়িয়াখানায়। বাকি দলটি আপাতত গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে দিপর বিলের মাঝামাঝি অংশে কচুরিপানা খেতে ব্যস্ত। |