|
|
|
|
রাজ্যের জবাব শেষ |
পরশু থেকে ফের টাটার সওয়াল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সিঙ্গুর মামলায় রাজ্যের জবাব-পর্ব শেষ। সোমবার থেকে শুরু হবে টাটা মোটরস-এর পাল্টা উত্তর দেওয়ার পালা।
শুক্রবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গুর মামলায় রাজ্যের জবাব-পর্বের শেষ দিন। এ দিন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে টাটা মোটরস-এর যাবতীয় সওয়ালের জবাব দেওয়া শেষ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্র। আগামী সোমবার থেকে ফের রাজ্যের দেওয়া জবাবের বিপক্ষে দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের উত্তর দেওয়া শুরু করবেন টাটা মোটরস-এর আইনজীবী সমরাদিত্য পাল।
সিঙ্গুর আইনকে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক বলে কলকাতা হাইকোর্টে টাটা মোটরস যে মামলা দায়ের করেছিল, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধাপে-ধাপে তারই জবাব দিয়ে গিয়েছেন অনিন্দ্যবাবু এবং সরকার পক্ষের অন্য তিন আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনও অনিন্দ্যবাবু বিচারপতির কাছে দাবি করেছেন, সিঙ্গুর আইন বৈধ এবং সাংবিধানিক। রাজ্য তার নিজের সাংবিধানিক অধিকারেই ওই আইন প্রণয়ন করে জমি ফিরিয়ে নিয়েছে। এখানে কোনও অধিগ্রহণের প্রশ্ন নেই। টাটা মোটরস-এর যদি কোনও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য থাকে, তা হলে হুগলি জেলা জজের কাছে গিয়ে তারা আবেদন করতে পারে বলে তিনি জানান। অনিন্দ্যবাবু বলেন, সিঙ্গুরে শুধু টাটা মোটরস-কে দেওয়া জমিই নিয়ে নেওয়া হয়নি, ২০০৬ সালে ওই প্রকল্পের জন্য প্রায় এক হাজার একর জমি রাজ্য সরকারই অধিগ্রহণ করেছিল। পুরোটাই তারা নিজেদের দখলে নিয়েছে। এর মধ্যে সামান্য কিছু জমি অনিচ্ছুক কৃষকদের ফিরিয়ে দিয়ে, বাকি জমিতে জনস্বার্থে কারখানা গড়া হবে বলেও বিচারপতিকে তিনি জানিয়েছেন। আইনজীবীরা মনে করছেন, আগামী সপ্তাহে টাটা মোটরস তার উত্তর দেওয়া শেষ করলে, আদালতে পুজোর ছুটি পড়ার আগেই সিঙ্গুর মামলা নিয়ে বিচারপতি কোনও রায় দিতে পারেন। কারণ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিঙ্গুর নিয়ে মূল মামলার রায় দিক হাইকোর্ট। বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ও প্রথম থেকে দুই পক্ষের আইনজীবীদের কাছে মামলার সওয়াল-জবাব পর্ব দ্রুত শেষ করার অনুরোধ জানিয়ে এসেছেন। |
|
|
|
|
|