দুই সিপিএম কর্মীকে মারধর আরামবাগে |
বাড়িতে চড়াও হয়ে দুই সিপিএম কর্মীকে মারধর এবং তাঁদের ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে হামলার ঘটনাটি ঘটে আরামবাগের বড়ডোঙ্গল গ্রামে। রাজকুমার পণ্ডিত এবং তরুণ রায় নামে গুরুতর আহত ওই দুই সিপিএম কর্মীকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “বিনা প্ররোচনায় আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এখন রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আমাদের উপর হামলা চালাচ্ছে। পুলিশ ঘটনার গুরুত্ব দিচ্ছে না। গোটা বিষয়টি আমরা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাচ্ছি।” পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, ওই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নন। অন্য দিকে, আরামবাগের চন্দ্রবান গ্রামে ওই রাতেই প্রহৃত হন চার তৃণমূল সমর্থক। তাঁদেরও আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই ঘটনা। তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের ষড়যন্ত্রেই তাদের সমর্থকদের উপরে হামলা হয়েছে। সিপিএম অভিযোগ মানেনি।
|
বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহক-বিক্ষোভ |
বর্ধিত মাসুলের প্রস্তাব প্রত্যাহার, লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজ বন্ধ করা-সহ দশ দফা দাবিতে শুক্রবার রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার আরামবাগ ডিভিশন অফিসে বিক্ষোভ দেখাল সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি। এ দিন শ’দুয়েক গ্রাহক মিছিল করে ওই অফিসে আসেন। ওই অফিস সংলগ্ন হাসপাতাল রোড ঘণ্টাখানেক অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সমিতির হুগলি জেলা সম্পাদক মণিমোহন ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপরে অনৈতিক ভাবে আর্থিক দায় চাপানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে বহুবার স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতর সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পালন করেনি।” এ দিন পুলিশের মধ্যস্থতায় হাসপাতাল রোড থেকে অবরোধ ওঠে। সমিতির পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার আরামবাগ ডিভিশনাল ম্যানেজার চন্দন মণ্ডলের কাছে দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়। চন্দনবাবু বলেন, “দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
|
পুড়শুড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের (বিএলএলআরও) বিরুদ্ধে কয়েক দফা অভিযোগ তুলে শুক্রবার এক দিনের কর্মবিরতি পালন করলেন ল-ক্লার্করা। ল-ক্লার্কদের সংগঠনের ব্লক সম্পাদক লালমোহন বাগ বলেন, “বিএলএলআরও নিয়মিত অফিসে আসেন না। তাঁর নিষ্ক্রিয়তায় সাধারণ মানুষকে এসে হয়রান হতে হচ্ছে। মানুষ পরচা দাবি করেও সময়ে পাচ্ছেন না। এ রকম বহু অনিয়মের বিরুদ্ধেই আমাদের কর্মবিরতি।” এ দিন বিএলএলআরও দেবব্রত চক্রবর্তী অফিসে ছিলেন না। পরে তিনি ফোনে দাবি করেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন।” মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অতীশ গায়েন বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
চার জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু আরামবাগে |
চারটি ভিন্ন ঘটনায় বৃহস্পতিবার আরামবাগ মহকুমায় চার জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বিকালে খানাকুলের কুড়কুড়িঘাটে মুণ্ডেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে নেমে তলিয়ে যান শম্ভু মান্না (২৮) নামে এক যুবক। তাঁর বাড়ি স্থানীয় কনকপুর গ্রামে। স্থানীয় লোকজন ঘণ্টা খানেক পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সন্ধ্যায় গোঘাটের ইদলবাটি গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ বেসরা (৪২) হাত-পা ধুতে গিয়ে পুকুরে তলিয়ে যান। দেহটি উদ্ধারের পরে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তিনি পুকুরে নেমে মৃগী রোগে আক্রান্ত হন। রাতে আরামবাগের ঘরগোয়ালা গ্রামের বাসিন্দা শ্যামলী ধাড়াকে (৪৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। পুলিশের অনুমান, হতাশার কারণে তিনি বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। অন্য ঘটনাটি গোঘাটের মান্দরা গ্রামের। গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় গোপীনাথ হাঁসদা (২০) নামে এক যুবককে তাঁর ঘরে ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন দেহটি নামান। পুলিশের অনুমান, পারিবাকি অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। চারটি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
|
গাড়ি ও ভ্যানের ধাক্কায় জখম হলেন এক শিশু-সহ সাত জন। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৮টা নাগাদ হুগলির নেপাকুলি গ্রামের কাছে এই ঘটনা ঘটে। জখমদের কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সন্ধ্যায় কালনা থেকে পান্ডুয়ার দিকে যাওয়ার সময়ে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। তার পরে সেটি একটি ভ্যানে ধাক্কা মারে। আশপাশের বাসিন্দারা জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। |