মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করতে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে এ বার রাতেও জঙ্গি দমন অভিযান শুরু করল বিহার পুলিশ। কাল রাতে বিহারের রোহতাস জেলার কৈমুর পাহাড় এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে এ ধরনের অভিযান চালিয়েছে জেলা পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন রোহতাস জেলার পুলিশ সুপার মনু মহারাজ। সঙ্গে বিহার পুলিশের বাহিনী ছাড়াও ছিল কোবরা, সিআরপিএফ এবং এসটিএফের বেশ কয়েকটি বাহিনী। মনু মহারাজ জানিয়েছেন, বাহিনীতে সব মিলিয়ে প্রায় দেড়শো জওয়ান উপস্থিত ছিল। সকলেই মাওবাদী-দমন অভিযানে অংশ নেয়।
এসপি বলেন, “অভিযান চলাকালীন গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, অনেক সময়েই রাতে মাওবাদী বাহিনী এসে তাঁদের উপরে কী ভাবে অত্যাচার চালায়, তাদের রাতের খাবার তৈরি করতে বাধ্য করে, এ সমস্তই। কৈমুর পাহাড়ি এলাকায় মাওবাদী রমরমা কমাতেই আমরা এই অভিযান শুরু করেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা এই অভিযানে খুবই খুশি। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে এই অভিযান চালিয়ে যাব। বিস্তারিত ছকও প্রস্তুত।”
অভিযান চলার সময়ে মাওবাদী সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তাদের নাম মহেন্দ্র চৌধুরি এবং রাহুল খেরওয়াড়। দু’টি দেশি পিস্তল এবং বেশ কিছু তাজা কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। ডিজি অভয়ানন্দ জানান, জহানাবাদেও ধরা পড়েছে সাব-জোনাল মাওবাদী কম্যান্ডার নওল ভুঁইঞা।
পুলিশ সুপার মনু মহারাজ জানিয়েছেন, পাহাড়ি এলাকার গ্রাম হওয়ার সময়েই পুলিশ ওই সব এলাকায় দ্রুত পৌঁছতে পারে না। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে প্রাক্তন মাওবাদী নেতা সুগ্রীব সিংহ খেরওয়াড়ের নেতৃত্বে স্থানীয় আদিবাসীরা একটি ‘বিক্ষুব্ধ মাওবাদী’ সংগঠন গঠন করে। এর পর থেকেই ওই এলাকায় মাওবাদী হামলা বাড়ে। মাওবাদী অত্যাচারে ওই এলাকার প্রচুর আদিবাসী ঘরছাড়া হয়। সম্প্রতি সুগ্রীব সিংহ খেরওয়াড় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে চিঠি লিখে ওই এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানান। এর পরেই ওই এলাকায় নিরাপত্তা ফেরাতেই পুলিশ-প্রশাসন এই অভিযান শুরু করল বলে মনে করা হচ্ছে। |