অসমের জমি বাংলাদেশকে হস্তান্তরের প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। আজ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ লাঠিটিলা-ডুমাবাড়ি অভিযান করে। ওই এলাকার ৩৬৪ একর জমি ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা দখল করে নেয়। সেই থেকে ওই জমি তাদেরই দখলে। ১৯৭১-এ পূর্ব পাকিস্তারে অস্তিত্ত্ব মুছে বাংলাদেশের জন্ম হলেও জমি-বিবাদের মীমাংসা হয়নি। মনমোহন-হাসিনা চুক্তির মাধ্যমে ওই জমির উপর দাবি ছেড়ে দিয়েছে ভারত।
প্রতিবাদে বিদ্যার্থী পরিষদ ওই বিতর্কিত অংশে গিয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা তোলার ডাক দেয়। বিএসএফের আপত্তিতে বাংলাদেশের দখলে থাকা সেই বিতর্কিত অংশে যাওয়া সম্ভব না হলেও নো ম্যান্স ল্যান্ডে গিয়ে তেরঙ্গা পতাকা ওড়ান বিক্ষোভকারীরা। চার কর্মকর্তাকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয় বিএসএফ। তখন আন্তর্জাতিক সীমানায় দাঁড়িয়ে মুহুর্মুহু স্লোগান তোলেন শ’তিনেক মানুষ। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণও স্বতঃস্ফূতর্র্ ভাবে এই কর্মসূচিতে শামিল হন।
পরিষদ নেতা অপাংশু শূরের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ও অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দুর্বলতার জন্যই জমি পুনরুদ্ধারের কোনও চেষ্টা না করেই বেদখল করা জমি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র থাকা জমি কী করে বিতর্কিত হয়, প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই জমি ভারতীয় নাগরিকদের। এর সপক্ষে ২২ জনের কাছে উপযুক্ত নথিপত্র রয়েছে। ভারত সরকার তাঁদের কাছ থেকে খাজনাও আদায় করছে। পরিষদ নেতাদের প্রশ্ন, এর পরও কী করে বেদখল বলেই জমির অধিকার ছেড়ে দেয় ভারত? |