দিনভর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজধানী।
আজ ভোর প্রায় চারটে থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন দিল্লির অধিকাংশ এলাকা। তার ফলে প্রবল যানজট দেখা দেয় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই দেওয়াল ধসে ছ’বছরের এক বালিকার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ নারেলায় গৌতম কলোনিতে একটি হাসপাতালের কাছে ওই দেওয়ালটি ধসে পড়ে। সে সময় কয়েক জন শিশু স্কুলে যাচ্ছিল। দেওয়ালটি হঠাৎ ভেঙে পড়লে তারা ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে। বাকিদের উদ্ধার করা গেলেও চিঙ্কি নামের এক বালিকার মৃত্যু হয়। |
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ৯১.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টির জেরে রফি মার্গ, বিকাশ মার্গ, ডিফেন্স কলোনি উড়ালপুল, লালা লাজপত রায় রোড, নেহরু প্লেস, মায়াপুরী চক-সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে যায় রাস্তায়। যার জেরে সারা দিনই চলে যানজট। পুলিশ জানিয়েছে, জল জমে থাকার জন্য ওপি মার্গ, লোনি রোড, দুর্গা পুরী চক, কিষানগঞ্জ রেলওয়ে সেতু, জনকপুরী-সহ দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায় যানজট তৈরি হয়। যানজটে আটকে পড়া দিল্লির বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, দেশের রাজধানী শহরে কি নিকাশি ব্যবস্থা বলে কিছু নেই! গত বছর কমনওয়েলথ গেমসের আগে গোটা দিল্লি শহর ঢেলে সাজানো হয়েছিল। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে উড়ালপুল, নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে। তার পরেও আজ জল জমে গোটা শহর কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন অফিসযাত্রীরা। সরকারি কর্মী অনিন্দিতা দাশগুপ্ত বললেন, “জাঙ্গপুরা থেকে গোলে মার্কেটে আমার অফিসে আসতে বড়জোর ২৫ মিনিট সময় লাগে। আজ সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি লাগল। রাস্তায় জল জমায় অটোও যেতে চাইছিল না।” প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব দিল্লির লক্ষ্মীনগর এলাকায় অনেক বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। পাম্প চালিয়ে সেই জল বের করার চেষ্টা চলছে।
আজ পঞ্জাব ও হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকাতেও বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জেরে ওই দুই রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চল জলমগ্ন হয় পড়ে। এমনকী, টানা বৃষ্টির ফলে বেশ কিছু জায়গায় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহেও ব্যাঘাত ঘটে। |