ছেলে খুন, ‘ছক’ কষে ধৃত বাবা |
ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বাবা। তাই শেষ পর্যন্ত জামাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ছেলেকে খুন করার ছক কষেন তিনি। এর পরে রীতিমতো ‘সুপারি কিলার’ লাগিয়ে খুন করেন ছেলেকে। মৃত যুবক অরবিন্দ স্বর্ণকারের বাবা বিষ্ণুপদ স্বর্ণকার ও জামাইবাবু রঞ্জিত সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ১৮ অগস্ট নিউ টাউনের কোচপুকুর মৌজায় এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের দেহ উদ্ধারের পরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারে। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্তেরা সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানোর কথা স্বীকারও করেছেন।
পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের জামার পকেট থেকে একটি মোবাইল নম্বর পাওয়া গিয়েছিল। নম্বরটি ছিল হাসনাবাদ থানা এলাকার। অরবিন্দ নিখোঁজ হওয়ার পরে ওই থানাতেই একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই নিউ টাউন থানার পুলিশ হাসনাবাদ থানাকে যুবকের মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানায়।
এর পরে হাসনাবাদ থানার পুলিশের কাছে খবর পেয়ে অরবিন্দবাবুর স্ত্রী নিউ টাউন থানায় এসে স্বামীর জুতো দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অরবিন্দবাবুর মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষা করতে গিয়ে তাঁর জামাইবাবু রঞ্জিত সরকারের খোঁজ পায়। তিনি বসিরহাট এলাকারই বাসিন্দা। কিন্তু অরবিন্দবাবুর দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। পরে ফাঁদ পেতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, সম্পত্তি নিয়ে তাঁর শ্বশুরমশাই বিষ্ণুপদ স্বর্ণকারের উপর অত্যাচার চালাতেন ছেলে অরবিন্দ। ওই অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতেই জামাই-শ্বশুর মিলে পরামর্শ করে ৬০ হাজার টাকার চুক্তিতে এক জন সুপারি কিলার নিয়োগ করেন। খুনের পরে মৃতদেহটি ওই সুপারি কিলারই নিউ টাউনের কোচপুকুর মৌজায় ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। জেরায় ধৃতেরা জানান, খুনের পরে বিষ্ণুপদবাবু পোস্ট অফিস থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে ওই সুপারি কিলারকে দেন। পুলিশ এখন ওই সুপারি কিলারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
|