টুকরো খবর

সমাবেশ ঘিরে বিতর্ক রামপুরহাটে
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র শনিবারের রামপুরহাট মহকুমা সমাবেশ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দলের স্থানীয় বিধায়ককেই ওই সমাবেশে নিমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলছেন খোদ রামপুরহাটের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বজনবিদিত বিরোধ ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। সমাবেশের আগের দিন শুক্রবার অভিযোগ করেন, “আমি এলাকার বিধায়ক। অথচ, এলাকায় আমার দলের শ্রমিক সংগঠন সমাবেশ করছে, আমি কিছু জানি না। কোনও মতামত বা পরামর্শও নেওয়া হয়নি। বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব।” ঘটনা হল, আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি বিকাশ রায়চৌধুরি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সমাবেশের জন্য বিলি করা লিফলেট ও নিমন্ত্রণ পত্রে দলের নেতৃত্বদের মধ্যে আশিসবাবুর নাম না থাকলেও এসআরডিএ’র সভাপতি’র উল্লেখ রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের চেয়ারম্যান হিসেবে আশিসবাবুকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেই সুকৌশলে অনুব্রতবাবুকে দলের ‘জেলা সভাপতি’ হিসেবে ডাকা হয়নি। বদলে তাঁকে ‘এসআরডিএ-এর সভাপতি’ হিসেবে ডাকা হয়েছে। আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি বিকাশ রায়চৌধুরি’র দাবি, “সমাবেশের ব্যাপারে কথা বসার জন্য আশিসবাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।” তবে, দলের জেলার বিধায়ক ও সাংসদ শতাব্দী রায়কে জানিয়ে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।” তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অনব্রতবাবু। তাঁর যুক্তি, “শ্রমিক সংগঠনের সমাবেশ করতে দলের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। শ্রমিকদের উজ্জীবিত করতে এ ধরণের সমাবেশের প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছে। সুযোগ হলে সেখানে যাব।”

ট্রেনে শ্লীলতাহানি,জওয়ান ধৃত
দূর পাল্লার ট্রেনে সংরক্ষিত বাতানুকূল কামরায় রবিবার গভীর রাতে ঘুমন্ত মহিলার কম্বলের নীচে ঢুকে শুয়ে পড়েছিল একটা উটকো লোক। সেটা ছিল অমৃতসর মেল আর জায়গাটা ছিল পটনা। আর বৃহস্পতিবার রাতে শিয়ালদহমুখী দার্জিলিং মেলের সংরক্ষিত বাতানুকূল কামরায় এক মহিলার শ্লীলতাহানি করল কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। অমৃতসর মেলের ঘটনায় সেই আগন্তুকের হদিস মেলেনি। তবে বৃহস্পতিবারের ঘটনায় দার্জিলিং মেলের যাত্রী ওই অভিযুক্ত জওয়ান গ্রেফতার হয়েছে। শ্লীলতাহানির পরে মহিলার চিৎকারে কামরার অন্য যাত্রীরা ছুটে এসে জওয়ানকে ধরে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেন। ট্রেন শিয়ালদহে পৌঁছলে ওই মহিলা জিআরপি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শিয়ালদহের রেল পুলিশ সুপার তাপসরঞ্জন ঘোষ বলেন, “যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে তদন্ত শুরু হয়েছে।” ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত রাত ২টো নাগাদ। ওই মহিলা রাতে নিজের আসন ছেড়ে শৌচাগারে যাচ্ছিলেন। জওয়ানটি তখনই পিছন থেকে তাঁকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। মহিলার চিৎকার করে ওঠায় কামরার লোকজন ছুটে গিয়ে ওই জওয়ানকে ধরে ফেলেন। সেই সময় চলন্ত ট্রেনের কামরায় জিআরপি বা রেল সুরক্ষা বাহিনীর কোনও জওয়ানের দেখা মেলেনি। ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পরে ট্রেনটি বোলপুর স্টেশনে পৌঁছলে যাত্রীরা ওই জওয়ানকে বোলপুরে জিআরপি-র হাতে তুলে দেন। ওই মহিলার অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। এমনকী সম্মানহানিরও ভয় দেখান এক পুলিশ অফিসার। পরে ওই মহিলার সঙ্গে কামরার অন্য অনেক যাত্রী স্বাক্ষর করে অভিযোগপত্রটি জমা দেন। অমৃতসর মেলের ভুক্তভোগী মহিলারও অভিযোগ ছিল, ট্রেনের অ্যাটেনড্যান্ট ও টিকিট পরীক্ষককে সব জানানো সত্ত্বেও তাঁরা উটকো লোকটিকে ধরার চেষ্টা করেননি, অভিযোগ নিতেও অস্বীকার করেন। দার্জিলিং মেলের নিগৃহীত মহিলা জানান, জওয়ানটি তাঁর শ্লীলতাহানি করে অন্য কামরায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু পারেনি। পরে সে একটি শৌচাগারে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কামরার অন্য যাত্রীরা তাকে শৌচাগার থেকে টেনে বার করে আনেন। দার্জিলিং মেলের মতো দূর পাল্লার গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে কেন কোনও প্রহরা পাওয়া যায়নি, তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে রেল।

কারাদণ্ড তিন জনের
রাস্তা আটকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড হল। শুক্রবার সিউড়ি আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা বিচারক এম এস দ্বিবেদী এই সাজা ঘোষণা করেন। আসামিরা হলেন সিউড়ি থানার দমদমা গ্রামের শেখ নবী, সাঁইথিয়া থানার মাঠপলসা গ্রামের আবদুল সালাম ও মহিসাডহুরী গ্রামের শেখ সালাম। বিচারক তাঁদের ৫০০০ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার নিশাদ পারভেজ বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ জুন এক ব্যবসায়ী সিউড়ি থেকে মোটরবাইকে সাঁইথিয়ায় নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। সাঁইথিয়া থানার রোঙাইপুর মোড়ের কাছে রাস্তায় তাঁর গাড়ি আটকে দুষ্কৃতীরা প্রায় সওয়া ২ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে বাইকটি নিয়ে পালায়। পুলিশ পাঁচ জনকে ধরে ও সওয়া এক লক্ষ টাকা উদ্ধার করে।” বিচারক দু’জনকে মুক্তির নির্দেশ দেন।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বরের দক্ষিণ গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রামপ্রসাদ পাল (২৪)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে স্থানীয় একটি সমবায় সমিতিতে বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলেন ওই যুবক। সেই সময় বৃষ্টি শুরু হয়। তখন পিছনে থাকা বিদ্যুৎবাহী তারে তাঁর মাথা ঠেকে যায়। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.