নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
সিপিএমের পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য আগেই প্রকাশ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদেরই এক জনের নাম প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। তৃণমূলের সেই প্রার্থীকেই প্রধান হিসেবে সমর্থন জানালেন এখনও প্রকাশ্যে সিপিএম না ছাড়া অর্ধেক পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনাটি বোলপুর থানার কঙ্কালিতলা পঞ্চায়েতের। শুক্রবার সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হন সিপিএম ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাণী লোহার।
উল্লেখ্য, এই পঞ্চায়েতের ১৩ জন সদস্যের মধ্যে সিপিএমের ১১ জন এবং আরএসপি’র ২ জন সদস্য ছিলেন। প্রধান ছিলেন সিপিএমের মুনমুন রায়। উপ প্রধান আরএসপি’র উত্তম পাল। বোলপুরের বিডিও অমল সাহা বলেন, “৩১ অগষ্ট মুনমুনদেবী ‘বক্তিগত কারণ’ দর্শিয়ে প্রধান পদে পদত্যাগ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, শুক্রবার প্রধান নির্বাচন ছিল। ৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। শুধুমাত্র বাণী লোহারের নাম প্রস্তাব করা হয়। ৯ জন সদস্য তাঁকেই সমর্থন জানান।” বাণীদেবীর অভিযোগ, “এতদিন পরিকল্পনামাফিক পঞ্চায়েতে কাজ হয়নি। তাই, মুনমুনদেবী পদত্যাগ করার পরেই আমরা পাঁচ জন সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিই। এদিন উপস্থিত থাকা সিপিএমের ৩ জন ও আরএসপি’র উপপ্রধানও আমাকে প্রধান হিসেবে সমর্থন করেছেন। সবাইকে নিয়ে আমি কাজ করতে চাই।” মুনমুনদেবী সহ সিপিএমের তিন জন এবং আরএসপি’র ১ জন সদস্য এদিন অনুপস্থিত ছিলেন। সিপিএমের ওই ৩ সদস্য এবং আরএসপি’র উপপ্রধান বলেন, “শুধু বাণীদেবীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তাই আমরা তাঁকেই সমর্থন জানাই।” তবে, সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সমীর ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, “এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে, ভয় দেখিয়ে প্রধানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। কয়েকজন দল ছেড়েছে। বাকিদের ভয় দেখিয়ে ভোট দেওয়া করিয়েছে। সমস্ত বিষয়টি প্রশাসনকে জানাব।” বোলপুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি চিত্তরঞ্জন রক্ষিত বলেন, “সিপিএম সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছে। ওই পাঁচ জন স্বেচ্ছায় তৃণমূলে এসেছেন। বাণীদেবীকে যারা সমর্থন করার জন্য কাউকে চাপ দেওয়া হয়নি।” |