অকালমৃতের আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী |
বেঁচে থাকাকালীন তার হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ পেয়েছিল অনেক ছবি। পেয়েছিল আন্তর্জাতিক সম্মানও। মাস দু’য়েক আগে দুরারোগ্য ব্যাধিতে মৃত্যু হয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্র সুমাল্য সিদ্ধান্তের। ছাত্রের আঁকা ছবি নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রদর্শনী করলেন কালনা শহরের চিত্রশিল্পী বাবলা গোস্বামী। সুমাল্যর আঁকার হাতেখড়ি তাঁর কাছেই। ২০০৯-এ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল কালনার অম্বিকা মহিষমর্দিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সুমাল্য। বিশ্বশান্তির ছবি এঁকে তৃতীয় পুরস্কারও পেয়েছিল। প্রতিভাবান ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে তার নিয়ে আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী করেন অ্যাকাডেমি অফ ক্রিয়েটিভ আর্টের সঙ্গে বহু বছর ধরে যুক্ত থাকা বাবলাবাবু। তাঁর কথায়, “ওর ছবিতে সবথেকে বেশি ধরা পড়েছে গ্রাম্যচিত্র। আমাদের দুর্ভাগ্য, সুমাল্য অকালে চলে গেল।”
|
বিদ্যুৎ কার্যালয় সরানোর দাবি |
বিদ্যুৎ দফতরের কার্যালয় নিজেদের এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানালেন পূর্বস্থলী পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার বিকেলে তাঁরা কালনা শহরের বিদ্যুৎ দফতরের কালনা ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। তাঁদের দাবি, ৩৪ বছর ধরে কার্যালয়টি নতুন বাজার এলাকার প্রণবকুমার ধারার বাড়িতে চলছিল। ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যালয়টি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সাত কিলোমিটার দূরে পারুলিয়া বাজারে। আচমকা এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পারুলিয়া বাজারে কার্যালয়ের পাশাপাশি নতুন বাজারেও একটি কার্যালয় খোলা হোক। তাতে স্থানীয় বাসিন্দারা বিল মেটানো-সহ বেশ কিছু সুবিধা পাবেন। কালনার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার আনন্দকুমার মান্নার আশ্বাস, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
|
গাড়ি ও ভ্যানের ধাক্কায় জখম হলেন এক শিশু-সহ সাত জন। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৮টা নাগাদ হুগলির নেপাকুলি গ্রামের কাছে এই ঘটনা ঘটে। জখমদের কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সন্ধ্যায় কালনা থেকে পান্ডুয়ার দিকে যাওয়ার সময়ে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। তার পরে সেটি একটি ভ্যানে ধাক্কা মারে। আশপাশের বাসিন্দারা জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। শুক্রবার সকালে কালনা ২ ব্লকের বালিন্দর গ্রামের পূর্বপাড়ার একটি বেলগাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সিকিল রায় (২৬)। সিকিলবাবুর বাবা মহাদেব রায় জানান, মাস পাঁচেক আগে একটি পারিবারিক বিবাদের জেরে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন সিকিলবাবুর জ্যাঠা। এ নিয়েই চিন্তিত ছিলেন তিনি। মামলা তুলে নিতে সিকিলবাবু জ্যাঠাকে অনুরোধ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে হাজিরা দেওয়ার চিঠি আসে। তাঁর দাবি, “এই নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল সিকিল।” |