|
|
|
|
বন্যা কবলিত মালদহে লঞ্চ নিয়ে তীব্র টানাপোড়েন দুই মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
একটিই লঞ্চ। সেটি পূর্ব নির্ধারিত সাঁতার প্রতিযোগিতায় নাকি মন্ত্রীর পরিদর্শনের কাজে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে বন্যা কবলিত মালদহে। সেচ দফতর সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে সার্ক দেশভুক্ত প্রতিযোগীদের নিয়ে ওই সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। রাজ্যের পূর্ত দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা নিজেই সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে কথা বলে অনেক আগে লঞ্চটি নিয়েছেন। ওই লঞ্চটিতে চিকিৎসকদলের থাকার কথা। অন্য দিকে, ২৬ অগস্ট মালদহের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে ওই লঞ্চটিই চেয়েছেন রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। কিন্তু সেচ দফতরের আধিকারিকেরা মন্ত্রীকে তাঁদের অক্ষমতার কথা জানিয়েছেন। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে সাবিত্রীদেবী রাজ্যের সেচমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান। তবে সাঁতার প্রতিযোগিতা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তাঁর যে লঞ্চটি পাওয়ার কোনও আশা নেই সেটা স্পষ্ট হয়েছে সেচমন্ত্রী ও আধিকারিকদের কথায়। |
|
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের দিয়ারা গ্রামের মধ্যেই বইছে ফুলহার। বুধবার বাপি মজুমদারের তোলা ছবি। |
সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, “মুর্শিদাবাদের সুব্রত সাহা অনেকদিন আগেই সাঁতার প্রতিযোগিতার জন্য লঞ্চ নিয়েছেন। বহুদিন ধরেই ওই সাঁতার প্রতিযোগিতায় সেচ দফতরের লঞ্চ পাঠানো হয়। আজ সাবিত্রী আমায় বলছেন, বন্যা কবলিত এলাকা দেখতে তাঁর লঞ্চ দরকার। আমি সাবিত্রীকে বলেছি, সুব্রত সাহার সঙ্গে কথা বলে লঞ্চ নিতে।”
সাবিত্রীদেবী ওই ঘটনায় বিরক্ত। তিনি বলেন, “জেলায় ত্রাণ নিয়ে প্রচুর অভিযোগ আসছে। ত্রাণ ঠিকমতো বিলি হচ্ছে কি না, তা দেখতে যাওয়ার জন্য ২৬ অগস্ট জেলা সেচ দফতরের কাছে লঞ্চ চেয়েছিলাম। কিন্তু সেচ দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ওই দিন লঞ্চ দেওয়া যাবে না। জেলায় আড়াই লক্ষ বানভাসি দুর্ভোগে পড়েছেন। অথচ সেচ দফতরের কোনও হেলদোল নেই। সেচ দফতরের কাছে বন্যার চেয়ে সাঁতার প্রতিযোগিতা বড় হয়ে গেল!”
সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার সুব্রত মজুমদার অবশ্য সাঁতার প্রতিযোগিতায় লঞ্চ দেওয়ার যুক্তি ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর যুক্তি, “৩০-৩২ বছর ধরে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে আন্তর্জাতিক সাঁতার প্রতিযোগিতা হচ্ছে। বন্যা শুরুর আগেই লঞ্চ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এখন তা না-দিলে প্রতিযোগিতা বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তাই মন্ত্রী চাওয়ার পরেও লঞ্চ দিতে পারিনি। মন্ত্রীকে বলেছি ৩০ অগস্টের পর লঞ্চ দেওয়া যাবে।”
বুধবার মালদহের বন্যা পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি হয়েছে। উত্তর ভারতে বৃষ্টিপাতের জেরে এ দিন বিকেল থেকে ফের গঙ্গা ও ফুলহারের জল বাড়তে শুরু করেছে। ওই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা প্রশাসন। |
|
|
|
|
|