সুশান্তের দিকে আঙুল প্রাক্তন আপ্ত সহায়কেরই
প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে এ বার আদালতে অভিযোগ আনলেন তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়কই।
গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ মন্ত্রী থাকাকালীনই মেদিনীপুরে অস্ত্র আমদানি শুরু হয় বলে তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক দেবাশিস পাইনের তরফে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, দেবাশিসবাবুর অভিযোগ: সুশান্তবাবুর আমলেই মেদিনীপুরে সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। দেবাশিসবাবুর তরফে জামিনের আবেদন পেশ করে তাঁর আইনজীবী হাইকোর্টকে বলেন, মন্ত্রীর কাজের প্রতিবাদ করার জন্যই আপ্ত সহায়কের পদ থেকে তাঁর মক্কেলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কঙ্কাল-কাণ্ডের জেরে সিআইডি ২৫ জুলাই দেবাশিসবাবুকে গ্রেফতার করে। সিআইডি’র অভিযোগ, প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের মতো তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়কও ওই ঘটনায় জড়িত। নিম্ন আদালতে দেবাশিসবাবুর জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। তার পরে তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন হাইকোর্টে। এ দিন দেবাশিসবাবুর আইনজীবী আশিস সান্যাল হাইকোর্টে বলেন, ১৯৯৭ থেকে সুশান্তবাবুর সঙ্গে আবেদনকারীর কোনও যোগাযোগ নেই। আশিসবাবুর দাবি: দেবাশিসবাবু মন্ত্রীর কাজকে সমর্থন করতে পারেননি বলেই তাঁকে আপ্ত সহায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবং ২০০২ সালে ঘটা কঙ্কাল-কাণ্ডের সঙ্গে স্বভাবতই দেবাশিসবাবুর যুক্ত থাকার প্রশ্ন ওঠে না বলে সওয়াল
দেবাশিস পাইন
করেন তাঁর আইনজীবী। এ দিনের শুনানির পরে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জেএন পটেল এবং বিচারপতি অসীম রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ দেবাশিসবাবুর জামিন মঞ্জুরও করেনি, খারিজও করেনি। বেঞ্চ বরং আবেদনকারীর কৌঁসুলিকে বলেছে আর্জিটি প্রত্যাহারের প্রস্তাব ভেবে দেখতে। বেঞ্চের বক্তব্য: এই মামলার চার্জশিট পেশ হওয়ার পরে জামিনের আবেদন করা হলে জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে। কারণ, চার্জশিটে দেবাশিসবাবুর নাম না-ও থাকতে পারে। কিন্তু এখন যদি তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়, তা হলে হাইকোর্টে পুনরায় জামিন প্রার্থনার সুযোগ থাকবে না। আশিসবাবু আদালতকে বলেন, তিনি মক্কেলের সঙ্গে কথা বলে সোমবার মতামত জানাবেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.